প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৭.৫ ওভারে ৯৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়েছিল ভারত। অনেকেই অশনি সংকেত দেখতে পেয়েছিলেন। তবে পন্থ এবং জাডেজার পাল্টা মারে বেকায়দায় পড়ে যায় ইংল্যান্ড। ১১১ বলে ১৪৬ রানের মারকুটে ইনিংস খেলেন পন্থ। জো রুটের বলে তিনি আউট হন। জাডেজা অপরাজিত রয়েছেন ৮৩ রানে। শুক্রবারের খেলা শেষের পর সৌরভ টুইট করেন, ‘চাপের মুখে পড়ে কী ভাবে টেস্টে ব্যাটিং করতে হয়, তার আদর্শ উদাহরণ দেখাল পন্থ এবং জাডেজা। এর থেকে ভাল কিছু আর হতে পারে না। কাল ৩৭৫ রান তুলে নাও।’ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে টপকে গিয়েছেন পন্থ। ভারতীয় উইকেটকিপার হিসাবে টেস্টে দ্রুততম উইকেটকিপার হিসাবে শতরান করেছেন। পাশাপাশি, প্রথম ভারতীয় উইকেটকিপার হিসাবে ইংল্যান্ডের মাটিতে দু’বার শতরান করেছেন তিনি। প্রথম দিনে ভারতের স্কোর সাত উইকেটে ৩৩৮।
অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কাকে চার উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ়ে ১-০ এগিয়ে গেল ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল। ম্যাচের সেরা দীপ্তি শর্মা। শুক্রবার পাল্লেকেলেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চামারি আটাপাট্টু। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের দাপটে ৪৮.২ ওভারে মাত্র ১৭১ রানে শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ছয় ওভারে ২৯ রান দিয়ে রেনুকা সিংহ তিনটি উইকেট নেন। দীপ্তিও তিনটি উইকেট তুলে নেন ৮.২ ওভারে ২৫ রান দিয়ে। দু’টি উইকেট পান পূজা বস্ত্রকর। একটি উইকেট নেন প্রথমবার পূর্ণ সময়ের অধিনায়ক হিসেবে ওয়ান ডে-তে নেতৃত্ব দেওয়া হরমনপ্রীত কৌর। রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়ও একটি উইকেট পান। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বাধিক রান (৪৩) করেন নীলাক্ষি ডি সিলভা। ব্যাট করতে নেমে ১৭ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। চার রান করে ফিরে যান স্মৃতি মন্ধানা। এক রানে আউট হন যস্তিকা ভাটিয়া। এই পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন হরমনপ্রীত (৪৪), শেফালি বর্মা (৩৫)। হার্লন দেওল করেন ৩৪ রান। দীপ্তি ও পূজা যথাক্রমে ২২ ও ২১ রান করেন। ৩৮ ওভারেই ছয় উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারত।
Find out more: