আরবের প্রথম মহিলা হিসাবে উইম্বলডন এবং যে কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের সেমিফাইনালে উঠে নতুন ইতিহাস তৈরি করলেন জাবেউর। মারি বুজকোভাকে ৩-৬, ৬-১, ৬-১ গেমে হারালেন টিউনিশিয়ার এই খেলোয়াড়। ম্যাচের পর জাবেউর বলেছেন, “এই অনুভূতি বলে বোঝাতে পারব না। অনেক দিন ধরেই সেমিফাইনালে ওঠার চেষ্টা করছিলাম। কিছু দিন আগেই হিচার আরাজির (মরক্কোর প্রাক্তন খেলোয়াড়) সঙ্গে কথা বলছিলাম। ও আমাকে বলল, আরবীয়রা বরাবর কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যায়। আমরা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। তুমি অন্তত এই ইতিহাসটা বদলাও। আমি বলেছিলাম, চেষ্টা করব। অবশেষে পেরেছি।” এমন দেশ থেকে এসেছেন জাবেউর, যেখানে এখনও মহিলাদের ছোট পোশাক পরা নিষেধ। প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করা ছোটবেলা থেকেই তাঁর স্বভাব। তাই কোনও চোখরাঙানি তাঁর এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। পরিবারে সবার থেকে ছোট জাবেউর। তাঁর উপরে দুই দাদা এবং এক দিদি রয়েছেন। মাত্র তিন বছর থেকে টেনিসে হাতেখড়ি। সেটাও মায়ের ইচ্ছাতেই। মেয়ে টেনিস খেলোয়াড় হোক এটা শুরু থেকেই চেয়েছিলেন রিধা জাবেউর। তিনি নিজেও শখের টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন।
অন্যদিকে, চলতি উইম্বলডনে দাপট বজায় রেখেছেন নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic)। কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে ২০ বছরের তরুণ ইতালির জ্যানিক সিনারের (Jannik Sinner) বিরুদ্ধে পাঁচ সেটের কঠিন লড়াইয়ের পর জয় পেলেন সার্বিয়ান তারকা। মঙ্গলবার কঠিন লড়াইয়ে প্রথম দুই সেট হেরে যান তিনি। তবে খেই হারাননি। তাই লাগাতার তিন সেটে জিতে ম্যাচ পকেটে পুরে নেন জোকার। ৩ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটের লড়াই হয় দু'জনের মধ্যে। খেলার ফলাফল ৫-৭, ২-৬, ৬-৩, ৬-২, ৬-২। এই নিয়ে উইম্বলডনের মঞ্চে ১১ বার সেমিফাইনালে উঠলেন নোভাক। চলতি বছরে এটাই তাঁর শেষ গ্র্যান্ডস্লাম হতে চলেছে। তাই এই প্রতিযোগিতায় একবার চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া থাকবেন ২০টি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক।
Find out more: