অঞ্জু ববি জর্জের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (World Athletics Championships) দেশকে দ্বিতীয় পদক এনে দিয়েছেন কৃষক পরিবারের কৃতী সন্তান। ২০০৩ সালে অঞ্জু পেয়েছিলেন লং জাম্পে ব্রোঞ্জ। ১৯ বছর পর অঞ্জুকে ছাপিয়ে নীরজ রুপো জিতে দেশর মুখ বিশ্বমঞ্চে ফের উজ্জ্বল করলেন। বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতে খুশি নীরজ। তিনি বলেছেন, ‘‘দেশের জন্য রুপোর পদক জিততে পেরে দুর্দান্ত লাগছে। আজ সত্যিই দারুণ আনন্দ হচ্ছে। আগামী বছর আবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ হবে। আরও ভাল ফল করতে চাই। ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন, সাই এবং সরকারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই। ওদের সহযোগিতা ছাড়া এই সাফল্য সম্ভব হত না। বিদেশি কোচ, বিদেশে প্রশিক্ষণ— সব রকম সহযোগিতা পেয়েছি। এমন সহযোগিতা পেলে সব খেলাই উন্নতি করবে। আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারব।’’
নীরজ বলছেন, "চতুর্থ থ্রোয়ের পর আমি থাইয়ে অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। যতটা জোর দিয়ে ছুড়তে চেয়েছিলাম, সেটা করতে পারিনি। সত্যি বলতে পরিবেশ ভাল ছিল না। প্রচুর হাওয়া দিচ্ছিল। আমার মনে হয়েছিল ভাল ছুড়তে পারব।" নীরজের এরপর পাখির চোখ কমনওয়েলথ। গ্রেনাডার অ্যান্ডারসন পিটারস প্রথমেই ছোড়েন ৯০.৫৪ মিটার জ্যাভলিন ছুড়ে সোনা পেয়েছেন। নীরজ তাঁরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ইভেন্টের পর। নীরজ প্রথমেই ফাউল থ্রো করেন এদিন। অ্যান্ডারসন পিটারস প্রথমেই ছোড়েন ৯০.২১ মিটার। ফলে নীরজের কাজটা কঠিন হয়ে যায়। দ্বিতীয় সুযোগে নীরজ ছোড়েন ৮২.৩৯ মিটার। তৃতীয় সুযোগে দূরত্ব বাড়ান টোকিয়ো অলিম্পিক্সের পদকজয়ী। নীরজ ছোড়েন ৮৬.৩৭ মিটার। ফলে চতুর্থ স্থানে ছিলেন তিনি। নিজের চতুর্থ থ্রোয়ে ৮৮.১৩ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছোড়েন নীরজ।
Find out more: