কুস্তিতে সোনা জিতলেন দীপক পুনিয়াও। ৮৬ কেজি বিভাগে পাকিস্তানের মহম্মদ ইনামকে ৩-০ পয়েন্টে হারালেন তিনি। কমনওয়েলথ গেমসে এই প্রথম সোনা জিতলেন হরিয়ানার কুস্তিগির। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ইতিমধ্যেই রুপো রয়েছে তাঁর। এই নিয়ে কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের ন’টি সোনার পদক হয়ে গেল। কুস্তিতে দেড় ঘণ্টার মধ্যে তিনটি সোনা এল। অংশু মালিক ফাইনালে হেরে না গেলে আরও একটি সোনা আসতে পারত। দীপক প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে নেমেছিলেন নিউজিল্যান্ডের ম্যাথু অক্সেনহ্যামের বিরুদ্ধে। ১০-০ পয়েন্টে জেতেন তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালে একই ব্যবধানে হারান সিয়েরা লিয়নের শেকু কাসেগবামাকে। সেমিফাইনালে কানাডার আলেকজান্ডার মুরকে ৩-১ পয়েন্টে হারান। ফাইনালে পাকিস্তানের ইনামকে পয়েন্ট জিততেই দিলেন না।

অন্যদিকে, সাক্ষী মালিকের কাছে এ বারের কমনওয়েলথ গেমস ছিল প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ। যে মঞ্চে জ্বলে উঠলেন সাক্ষী। প্রথম রাউন্ডে ০-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিলেন। তারপরেও হারিয়ে দিলেন কানাডার গডিনেজ গঞ্জালেসকে। জিতে নিলেন সোনা। গোল্ড মেডেল বাউটের শুরুতে আক্রমণ করতে গিয়ে ভুল করে বসেন সাক্ষী। প্রতি আক্রমণে সাক্ষীকে টেক ডাউন করে ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন অ্যানা। প্রথম রাউন্ডেই একই ভুলের পুনারাবৃত্তি করেন সাক্ষী। ফলে ফের তাঁকে ২ পয়েন্ট খোয়াতে হয়। প্রথম রাউন্ডে সাক্ষী ০-৪ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েন। দ্বিতীয় রাউন্ডে সাক্ষী এক ঝটকায় ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন নেন এবং কানাডিয়ান তারকাকে চিৎ করে (৪-৪) ফাইনাল বাউট জিতে নেন। সেই সঙ্গে বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমস থেকে ভারতকে সার্বিকভাবে আট নম্বর সোনা এনে দিলেন সাক্ষী। এই প্রথম কমনওয়েলথ গেমসের গোল্ড মেডেল গলায় ঝোলালেন সাক্ষী মালিক।

Find out more: