বিরাট কোহলি এ বারের এশিয়া কাপে ছন্দে ছিলেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৩৫ রান করেছিলেন। হংকংয়ের বিরুদ্ধে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন বিরাট। সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬০ রান করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে যদিও কোনও রান করেননি বিরাট। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে ১২২ রান করেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭১তম শতরান আসে বিরাটের। কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় তাঁর স্কোর থেমে যায় ২৭৬ রানে। তবে ফাইনালের আগে পর্যন্ত এ বারের এশিয়া কাপে সব থেকে বেশি রান ছিল বিরাট কোহলীর। একটি শতরান এবং দু’টি অর্ধশতরান-সহ তাঁর সংগ্রহ ২৭৬ রান। বিরাট সমর্থকরা চেয়েছিলেন তাঁকেই শীর্ষে দেখতে। শেষ মুহূর্তে বিরাটকে পিছনে ফেলে দিলেন পাকিস্তানের মহম্মদ রিজওয়ান। তাঁর সংগ্রহ ২৮১ রান। সর্বাধিক রানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান। তিনি পাঁচ ম্যাচে করেছেন ১৯৬ রান। শ্রীলঙ্কার ভানুকা রাজাপক্ষ ছ’ম্যাচে ১৯১ রান করেন। তিনি শেষ করলেন চতুর্থ স্থানে। এশিয়া কাপজয়ী শ্রীলঙ্কার ওপেনার পাথুম নিশঙ্ক করেন ১৭৩ রান। তিনি রয়েছেন পঞ্চম স্থানে।

উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে শুরু হয় এশিয়া কাপ। অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। বিগত ১৪ বছরে ভারত ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯৫, ২০১০, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ভারতের পরেই রয়েছে শ্রীলঙ্কা। পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন (১৯৮৬, ১৯৯৭, ২০০৪, ২০০৮ ও ২০১৪) হয় তারা। পাকিস্তান দু'বার (২০০০, ২০১২) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ২০১৪ সালে শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। পাকিস্তান শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০১২ সালে। এদিন যে দল খেতাব জিতবে, তারা পাবে প্রায় ১ কোটি ৫৯ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা। রানার্স দল ঘরে নিয়ে যাবে প্রায় ৭৯ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা।

Find out more: