ভারতের লজ্জার হারের রাতে অনন্য মাইলস্টোন তৈরি করলেন কেএল রাহুল। এদিন মোহালিতে রাহুল তাঁর আন্তর্জাতিক টি-২০ কেরিয়ারে ২০০০ রান পূর্ণ করলেন। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির পর তৃতীয় ভারতীয় হিসাবে এলিট ক্লাবে এলেন রাহুল। কেএল রাহুল ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে গড় চল্লিশের ওপর। যা তাঁর ধারাবাহিকতার প্রমাণ দেয়। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে সর্বাধিক রানশিকারিদের তালিকায় ১৬ নম্বরে রয়েছেন রাহুল।
অন্যদিকে, এশিয়া কাপে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৯তম ওভারে বল করতে গিয়ে ম্যাচ হাতছাড়া করে এসেছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যখন ১২ বলে বাকি ১৮ রান। সেই ভুবির হাতেই বল তুলে দিলেন রোহিত শর্মা। ১৬ রান দিয়ে সেখানেই ম্যাচ শেষ করে দেন অভিজ্ঞ মিডিয়াম পেসার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত সর্বোচ্চ ২০৮ রান করেও জিততে পারল না। চার বল বাকি থাকতেই প্রথম ম্যাচ জিতে যান ম্যাথু ওয়েডরা। রোহিত শর্মার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল এশিয়া কাপ থেকেই। ভুবনেশ্বর কুমারকে শেষের দিকের ওভারে বল দেওয়ার সিদ্ধান্ত যে খাটছে না, তা জেনেও ফের একই ভুল করলেন ভারতীয় অধিনায়ক। প্রাক্তন ভারতীয় হেড কোচ রবি শাস্ত্রী মানতেই পারছেন না এমন সিদ্ধান্ত। তিনি বলেছেন, ‘‘ভুবনেশ্বরকে বুঝতে হবে, শেষের দিকে বল করতে গেলে আরও নিখুঁত হতে হবে। প্রত্যেকটি ইয়র্কার জায়গায় পড়তে হবে। ডেথ ওভারের বোলার সকলে হতে পারে না। যশপ্রীত বুমরার ইয়র্কার নিখুঁত। তাই ও শেষের দিকে এতটা সফল।’’ যোগ করেন, ‘‘এশিয়া কাপেও রোহিত দেখেছে যে ভুবিকে শেষের দিকে বল দিলে দল সমস্যায় পড়ছে। তবুও একই ঝুঁকি নেওয়ার কি মানে?’’ কিংবদন্তি সুনীল গাওস্করও এই নেতৃত্বকে সমর্থন করছেন না। বলছিলেন, ‘‘দলে ষষ্ঠ বোলারের অভাব থেকেই গিয়েছে। অক্ষর চার ওভারে ১৭ রানে তিন উইকেট নেওয়ার পরেও এই ম্যাচ হারার অর্থ খুঁজে পাচ্ছি না। ২০৮ রান করার পরে যে কোনও পিচে জেতা উচিত।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘উমেশের দলে থাকাটা যুক্তিহীন। বিশ্বকাপ দলেও তো ও নেই। তা হলে কেন ওকে রাখা হচ্ছে?’’
Find out more: