স্যাম কারানকে পঞ্জাব নেওয়ার কিছুক্ষন পরেই ক্যামেরুন গ্রীনকে তুলে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সাম্প্রতিক অতীতে ভারতে এসে দুরন্ত পারফর্ম করেন তিনি। ২০০-র ওপর স্ট্রাইকরেটে রান করেন। ক্যামেরুন গ্রিনের জন্য ঝাপায় বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিন্তু অবশেষে ১৭.৫০ কোটি টাকায় গ্রিনকে কিনে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ানস। গ্রিন বলেন, “সত্যি বলতে আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। আইপিএল এর বিরাট ভক্ত আমি। অবশেষে মুম্বই ইন্ডিয়ানসের জার্সি গায়ে গলাতে পারব বলে ভালো লাগছে।”
ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার বেন স্টোকস ১৬.২৫ কোটি টাকায় তুলে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস।এর আগেও মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে রাইজিং পুনে সুপার জায়ন্টসে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। রাজস্থানের জার্সিতেও বেশ কয়েকবছর খেলেন তিনি। চেন্নাই জার্সিতে ইংলিশ অলরাউন্ডার কি ম্যাজিক দেখায় এখন সেটাই দেখার।
চলতি আইপিএল নিলামে চমক দেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদও। সদ্য শেষ হওয়া ইংল্যান্ড-পাকিস্তান টেস্ট সিরিজে তিনটি শতরান করা হ্যারি ব্রুককে কিনে নিয়ে চমক দেয় হায়দরাবাদ। পাকিস্তান সুপার লিগেও ৪৮ বলে শতরান করে চমক দিয়েছিলেন তিনি। ১৩.২৫ কোটি টাকার বিরাট মূল্যে তাঁকে নেয় হায়দরাবাদ। এছাড়া ৮.২৫ কোটি টাকায় মায়াঙ্ক অগরওয়ালকেও কিনে নেয় হায়দরাবাদ।ক্লাসেনকে ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকায় এবং আদিল রশিদকে ২ কোটি টাকায় দলে নেয় সাইনরাইজার্স হায়দরাবাদ। নিকোলাস পুরাণকে ১৬ কোটি টাকায় দলে নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস।
কলকাতা নাইট রাইডার্স ৬০ লক্ষ টাকায় দলে নিল বৈভব আরোরাকে। এছাড়া ৯০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এন জগদীশনকে দলে নেয়। ১ কোটি টাকায় বিনিময়ে অলরাউন্ডার ডেভিড উইজাকে দলে নেয় কেকেআর। প্রাক্তন কেকেআর পেসার শিভম মাভিকে ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে দলে নেয় গুজরাট টাইটানস। ২ কোটি ৪০ লাখের বিনিময়ে দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যান মনীশ পাণ্ডে।
বাংলার হয়ে খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে চমক দেন মুকেশ কুমার। তাঁকে ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।তবে এবারের আইপিএল নিলামে অবিক্রীত থেকে যান সাকিব আল হাসান, জো রুট, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ প্রমুখ।