
ভিড়ে ঠাসা ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানো (Wanda Metropolitano) স্টেডিয়ামে প্রথম থেকেই দাপিয়ে খেলতে থাকে অ্যাতলেটিকোর প্লেয়াররা। বিশ্বকাপের দারুণ ফর্ম নিয়েই খেলছিলেন অ্যান্তইন গ্রিজম্যান (Antoine Griezmann)। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছিলেন জোয়াও ফেলিক্স (Joao Felix)। কিন্তু কয়েক মুহূর্তের বার্সা-ম্যাজিকে গোল খেয়ে যান তাঁরা। গাভিকে দারুণ ফরোয়ার্ড পাস বাড়ান পেদ্রি (Pedri)। তিনি ডিফেন্ডারদের আড়াল করে ডেম্বেলের পায়ে পাঠিয়ে দেন। গোল করতে কোনও ভুল করেননি ফরাসি তারকা। এই মরশুমে ক্লাবের হয়ে সাত নম্বর গোল করলেন তিনি।
গোল শোধ করার জন্য আরও চাপ বাড়াতে থাকে দিয়েগো সিমিওনের দল (Diego Simeone)। কিন্তু বার্সার গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেনকে বিপদে ফেলতে পারেনি তারা। উল্টে দ্বিতীয় গোলের সুযগ এসে গিয়েছিল ডেম্বেলের কাছে। একটুর জন্য বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি তিনি। শেষের দিকে ম্যাচ আরও গরম হয়ে ওঠে। ৯২ মিনিটে মারামারি করে লাল কার্ড দেখেন অ্যাতলেটিকোর স্টেফান স্যাভিচ (Stefan Savic) এবং বার্সার ফেরান তোরেস (Ferran Torres) । গ্রিজম্যানের শট কোনও মতে বাঁচান রোনাল্ড আরাউকো।
এই জয়ের ফলে রিয়ালের থেকে তিন পয়েন্ট এগিয়ে এক নম্বর স্থান ধরে রাখল কাতালুনিয়ার ক্লাব। ১৬ ম্যাচে তাদের ৪১ পয়েন্ট। অন্যদিকে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে রইল অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। তাদের থেকে এক পয়েন্ট এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যোগ্যতা অর্জনের জায়গায় আছে রিয়াল বেতিস।