খেলার শুরুটা ভালো করেছিল মিকেল আর্তেতার আর্সেনালই। একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছিল তারা। ব্রাইটন (Brighton) থেকে সদ্য আর্সেনালে আসা লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড বাঁ দিক দিয়ে বার বার চাপ দিচ্ছিলেন। তাঁর বাঁ পায়ের শট দারুণ রিফ্লেক্সে বাঁচিয়ে দেন সিটির গোলরক্ষক স্তেফান ওর্তেগা। এ ম্যাচে খেলেননি দলের এক নম্বর গোলকিপার এদেরসন। খেলার পাঁচ মিনিটের মাথায় আরও একটি ভালো সেভ করেন ওর্তেগা।
প্রাথমিক ধাক্কা সামলে খেলায় ফের পেপ গুয়ার্দিওলার সিটি। এর্লিং হালান্ড (Erling Haaland) একাধিক সুযোগ পেলেও এদিন গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৫৮ মিনিটে তরুণ আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজকে মাঠে নামান পেপ। ওটাই ছিল তাঁর মাস্টারস্ট্রোক। ডান দিকে হালান্ড এবং বাঁয়ে আলভারেজকে দিয়ে সাবেকি ৪-৪-২ ছকে ফেরেন সিটি কোচ। আলভারেজের অন্তর্ভুক্তিতে সচল হয় সিটির আক্রমণ। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর জোরালো শট বারে লেগে জ্যাক গ্রিলিশের (Jack Grealish) পায়ে আসে। তিনি দুর্দান্ত পায়ের কাজে ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে নিচু ক্রস বাড়ান, যাতে পা ছুঁইয়ে গোল করেন নাথান আকে। এই গোল আর শোধ দিতে পারেনি আর্সেনাল।
এদিকে শনিবার রাতে রিডিংয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (Manchester United)। দলের ১০ নম্বর জার্সিধারী মার্কাস র্যাশফোর্ড (Marcus Rashford) জীবনের সেরা ফর্মে রয়েছেন। প্রায় রোজই গোল করছেন। কারাবাও কাপ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিরুদ্ধে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে গিয়ে গোল দিয়েছেন। আজও তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকবে ম্যান ইউ সমর্থকরা।