তিনি আরও বলেন, ‘আমার যাত্রা কখনও আকাশচুম্বী ছিল না। আমি সবসময় ছোট ছোট পদক্ষেপে বিশ্বাসী। ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় এ দলের হয়ে খেলি। সেইসময় রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে আমার আলাপ হয়। দ্রাবিড় আমাকে মূল্যবান কিছু টিপস দেন। এই টিপসগুলি আমার খেলাকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।‘ ভারতের ৩০৫তম টেস্ট ক্রিকেটার কেএস ভরত। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চোটগ্রস্ত ঋদ্ধিমান সাহার পরিবর্ত ক্রিকেটার হিসেবে খেলেছেন। কেএস ভরত ছাড়াও আজ অভিষেক হয় সূর্যকুমার যাদবের। অন্ধ্রপ্রদেশের এই ক্রিকেটার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪২৮৯ রান করেছেন। সঙ্গে রয়েছে ৯টি শতরান এবং ২৩টি অর্ধশতরান। সর্বোচ্চ ৩০৮ রান।
অন্যদিকে, প্রথম একাদশে দলে জায়গা পাননি শুভমান গিল (Shubman Gill)। অথচ মনে করা হচ্ছিল তাঁর যা সাম্প্রতিক ফর্ম তাতে তিনি চূড়ান্ত একাদশে জায়গা পাবেনই। ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুন ভাবে মেলে ধরেছেন এই পঞ্জাব তনয়। গত অস্ট্রেলিয়া সফরেও অনবদ্য ব্যাটিং করেছিলেন তিনি। গতকাল প্রাক্তন ভারতীয় হেড কোচ রবি শাস্ত্রীও (Ravi Shastri) শুভমান গিলের হয়ে জোর সাওয়াল করেছিলেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও শুভমানকে ছাড়াই নাগপুর টেস্টে খেলতে নামল টিম ইন্ডিয়া। শুভমানের পরিবর্তে দলে নেওয়া হয়েছে কেএল রাহুলকে (KL Rahul)।
শুভমান গিলকে দলে না নেওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বৈভব ভোলা নামে একজন লিখেছেন, এরপর থেকে শুভমানের উচিত আর রান না করা। কারণ রান করলেও রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে হচ্ছে। রাহুল এবং রোহিতকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া উচিত। প্রতীক সিং বলে একজন লিখেছেন, সেরা ফর্মে থাকা সত্ত্বেও দলে শুভমান গিলকে কেন দলে নেওয়া হল না তা বোধগম্য হল না। দেবাশিস দাস নামে একজন লেখেন, চমৎকার! শুভমানও নেই, কুলদীপও নেই। আর কী কী করতে হবে এই দু’জনকে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য?
নাগপুর টেস্টের জন্য ভারতের চূড়ান্ত একাদশ: রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, শ্রীকর ভারত, রবীন্দ্র জাডেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর প্যাটেল, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ