অতিমাত্রায় ক্রিকেটের ফলে বর্তমানে ক্রিকেটারদের চোট-আঘাতের সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রীড়াসূচি তো আছেই, সেই সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে আইপিএলের (IPL) মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি-ভিত্তিক টুর্নামেন্ট। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার বিনিময়ে তারকা ক্রিকেটারদের দলে নেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিরা, তাই তাদের হয়ে ১০০ শতাংশ দিতে দায়বদ্ধ ক্রিকেটাররা। নাগাড়ে ক্রিকেট খেলার জন্য জশপ্রীত বুমরা (Jashprit Bumrah), শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer) মতো একাধিক ক্রিকেটার চোট পেয়ে দেশের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে পারছেন না। বিশ্বকাপেও এই দুজন খেলতে পারবেন কি না সন্দেহ।
শাস্ত্রী বলছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং বোর্ডের বৈঠকে বসা উচিত। কতটা খেলা উচিত আর কতটা বিশ্রাম তা ঠিক করা দরকার, আইপিএল হলেও। বিসিসিআই-এর স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া উচিত এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বলা উচিত, আমার এই প্লেয়ারদের দরকার, ভারতের এই প্লেয়ারদের দরকার। ভারতের স্বার্থে, এই প্লেয়ারকে যদি বিশ্রাম দেওয়া হয় তাহলে ভালো হবে।
আধুনিক সময়ে ক্রিকেটারদের এত চোট আঘাত নিয়ে কিছুটা অবাক শাস্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা অবাকই লাগছে। আমরা কোন যুগে খেলেছি দেখুন। সেই সময় কতটুকু আর সুযোগ সুবিধা ছিল। প্লেয়াররা ৮-১০ বছর আরামসে খেলতে। তাদের মধ্যে অনেকেই বছরে ৮-১০ মাস খেলত। আমি জানি না, হয়তো এখন ক্রিকেট ম্যাচের ঘনত্ব বেড়ে গিয়েছে। তাতে কোনও সন্দেহ নেই। দুনিয়া জুড়ে বিভিন্ন লিগ, বিশ্রামের সময় কমে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, অক্টোবর-নভেম্বর মাসে রয়েছে বহু প্রতীক্ষিত ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ (CWC 2023)। তার আগে ভারতের সামনে ঠাসা ক্রীড়াসূচি। ৩১ মার্চ শুরু হচ্ছে আইপিএল যা শেষ হবে ১ জুন। ৭ জুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল (WTC Final) খেলতে ইংল্যান্ডে যাবেন রোহিতরা। সেখান থেকে ক্যারিবিয়ান সফর, তারপরেই আবার এশিয়া কাপ (Asia Cup) রয়েছে। বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে আরও একদফা ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলবে ভারত। এই পরিমাণ ক্রিকেটের ধকল সহ্য করে ক’জন শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের জন্য সুস্থ থাকতে পারবেন সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।