সাদা বলের ক্রিকেটে আবারও নিজের জাত চেনান শুভমান গিল। ৩৬ বলে ৬৩ রানের নজরকাড়া ইনিংস খেলেন তিনি। ৬টি চার এবং ৩টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। স্ট্রাইক রেট ১৭৫ । ২টি চার এবং ২টি ছয়ের সহযোগে ১৬ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে শুরুটা দারুণ করেন বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা। এছাড়া সাই সুদর্শন ২২ এবং বিজয় শংকর ২৭ রান করেন। ডেথ ওভারে রাশিদ খান এবং রাহুল তেওয়াটিয়ার ক্যামিও যুগলবন্দিতে জয় ছিনিয়ে নেয় গুজরাত টাইটান্স। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরা হন রশিদ খান।
এদিন টসে জিতে বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে চেন্নাই সুপার কিংসের স্কোর ১৭৮/৭। ডেভন কনওয়ে ব্যর্থ হলেও ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন অপর ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ৫০ বলে ৯০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন সিএসকে-র এই ব্যাটার। মারলেন ৪টি চার এবং ৯টি ছয়। তিন নম্বরে নেমে ২৩ রানের ইনিংস খেলেন মইন আলি। এদিন নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না বেন স্টোকস। মাত্র ৭ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ব্যর্থ অম্বাতি রায়ডুও (১২)। ৮ নম্বরে নেমে নিজের ব্যাটিং-এ প্রত্যেককে নস্ট্যালজিক করে দেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ৭ বলে ১৪ রানের অপরাজিত ক্যামিও খেলেন মাহি। মারেন একটি চার এবং একটি বিরাট ছয়। স্ট্রাইক রেট ২০০। চেন্নাই বোলারদের মধ্যে শামি, আলজারি এবং রশিদ খান নেন ২টি করে উইকেট। এদিন চেন্নাইয়ের বোলিং বিভাগের ব্যর্থতা স্পষ্টতই ধরা পড়ে। শুধু বোলিং নয়, ফিল্ডিং-এও দেখা যায় খামতি। পরের ম্যাচ থেকে অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে ধোনি এন্ড কোম্পানি।
গুজরাত টাইটান্সের
১। ঋদ্ধিমান সাহা ২। শুভমান গিল ৩। কেইন উইলিয়ামসন ৪। হার্দিক পান্ডিয়া ৫। বিজয় শঙ্কর ৬। রাহুল তেওয়াটিয়া ৭। রাশিদ খান ৮। মহম্মদ শামি ৯। জশুয়া লিটল ১০। যশ দয়াল ১১। আলজারি জোশেফ
চেন্নাই সুপার কিংস
১। ডেভন কনওয়ে ২। রুতুরাজ গায়কোয়ার ৩। মইন আলি ৪। বেন স্টোকস ৫। অম্বাতি রায়ডু ৬। শিবম দুবে ৭। রবীন্দ্র জাডেজা ৮। মহেন্দ্র সিং ধোনি ৯। মিচেল স্যান্টনার ১০। দীপক চাহার ১১। রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকর