না হলে ১১.৩ ওভারে কলকাতা ৮৯ রানে পাঁচ উইকেট, প্রথম বলে সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল, সেখান থেকে ২০৪ রান হয় কী করে! কে জানত লর্ড শার্দূল ব্যাট হাতে এমন জাদু দেখাবেন? খেলার গতির বিপরীতে যে ইনিংস তিনি খেললেন তা কল্পনার অতীত। ২৯ বলে ৬৮ রানের ওই রূপকথার ইনিংস নাইটদের লোকগাথায় ঢুকে পড়বে। খাদের কিনারে চলে যাওয়া একটা দলকে এভারেস্টের চূড়ায় নিয়ে গেলেন তিনি।
স্পিন বড় ভূমিকা নেবে জানাই ছিল। নারিন দুই উইকেট নিলেন, বরুণ চক্রবর্তী চারটে, তিনটে সুযশের। আরসিবি হারল ৮১ রানের বিশাল ব্যবধানে। গল্প কি একটা? কোথাকার কে, নামগোত্রহীন সুযশ শর্মা (Suyash Sharma) ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে এমনই ইমপ্যাক্ট ফেললেন, আরসিবির যাবতীয় আশা গঙ্গায় জলাঞ্জলি হয়ে গেল। বোলিং অ্যাকশন একটু বিটকেল, ডেলিভারির সময় মাথা সোজা থাকে না, চোখও পিচিং স্পটে থাকে না। কিন্তু কাজের কাজ করে গেলেন। মাত্র ১৯ বছর বয়স, কিন্তু উইকেট পেয়ে উচ্ছ্বাস করলেন না। জীবনে কোনও দিন ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলেননি। একেবারে আইপিএলের মঞ্চে অভিষেক এবং স্বপ্নের অভিষেক। কেকেআর থেকে ব্রাত্য হয়ে যাওয়া প্লেয়াররা কেকেআরকে যন্ত্রণা দিয়েছেন, এমন উদাহরণের কমতি নেই। আজ দীনেশ কার্তিকের (Dinesh Karthik) সেই সম্ভাবনা ছিল। প্রমাণিত হল, অন্তত এই একজনকে ছেড়ে দিয়ে কোনও ভুল করেনি কেকেআর ম্যানেজমেন্ট।
শর্ট বল করার প্রবণতা আছে সুযশের, সেটা সামলে নিতে পারলে কিন্তু আইপিএলে ভবিষ্যৎ আছে ছেলেটার। আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell), টিম সাউদিরা তাঁর সঙ্গে সেলিব্রেশনে মাতলেন, আদরে ভরিয়ে দিলেন। কেকেআরের পক্ষে সুখবর, বড় ব্যবধানে জয়ে নেট রানরেট বাড়িয়ে রাখা গেল। টুর্নামেন্টের শেষের দিকে এই রানরেটই ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়।