পরপর দুই ম্যাচ জিতে ফুরফুরে মেজাজে নাইট শিবির। আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে সবার। তবে এর মধ্যেও কিছু বিষয় কাঁটার মতো খচখচ করছে। প্রথমত, আন্দ্রে রাসেলের (Andre Russell) ফর্ম। তাঁর নামে টিকিট বিক্রি হয়, তিনি কলকাতার ‘বক্স অফিস’ প্লেয়ার। অথচ এখনও ব্যাট চলেনি ড্রে রাসের। গুজরাতের বিরুদ্ধে রশিদ খানের (Rashid Khan) অত্যন্ত খারাপ ডেলিভারিতে আউট হয়েছেন তিনি। পেশিবহুল চেহারায় মাঠ পার করতে সুবিধা হয়। আবার অসুবিধাও আছে, নড়াচড়া মন্থর হয়ে যায়। রশিদের ওই শর্ট বল ব্যাটে লাগাতে না পারার কারণ সেটাই।
দ্বিতীয়ত, পেস বোলিং। গুজরাত ম্যাচে উমেশ যাদব (Umesh Yadav) তবু ওভার পিছু আট রান দিয়েছেন। লকি ফার্গুসন (Lockie Ferguson) চার ওভারে ৪০ দিলেন, শার্দূল ঠাকুর (Shardul Thakur) ৪০ দিলেন তিন ওভারে। ওই সাত ওভারেই উঠে গেল ৮০! মাঝের দিকে সুনীল নারিন (Sunil Narine) এবং বরুণ চক্রবর্তীর (varun Chakravarthy) উপর অনেকখানি চাপ পড়ে যাচ্ছে। তাঁরা উইকেট নেবেন কী, রানের গতি সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন।
তৃতীয়ত, বিদেশি বিভ্রাট। চারজনের বেশি বিদেশি ক্রিকেটার খেলানো যায় না। প্রথম দুই ম্যাচে খেলেছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ, রাসেল, নারিন এবং টিম সাউদি। তৃতীয় ম্যাচে সাউদির জায়গায় আসেন ফার্গুসন। এদিকে দলে যোগ দিয়েছেন আরও দুই বিদেশি জেসন রয় (Jason Roy) এবং লিটন দাস (Litton Das)। দু’জনেই ওপেনিং ব্যাটার। এদিকে গুরবাজও ওপেন করছেন এবং রানও পেয়েছেন। শুক্রবার শেষ পর্যন্ত কে কে ইনিংস শুরু করবেন, আর কোন কোন বিদেশিই বা খেলবেন তা এখনও রহস্য।
হায়দরাবাদের বোলিং লাইন আপ কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী। পেস বিভাগে আছেন অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর কুমার (Bhubaneshwar Kumar), মার্কো জানসেন এবং ভারতীয় স্পিডস্টার উমরান মালিক (Umran Malik)। স্পিন করবেন ওয়াশিংটন সুন্দর এবং মায়াঙ্ক মার্কণ্ডে। কেকেআর নিশ্চয়ই চাইবে ইডেনে আজ ফের স্পিন সহায়ক পিচ থাকুক। কারণ তাদের হাতে রয়েছে তিন মিস্ট্রি স্পিনার— নারিন, বরুণ এবং সূযশ শর্মা।