প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ৩-০ গোলে জিতে যাওয়ায় ম্যান সিটির সেমিফাইনালে যাওয়া শুধু ছিল সময়ের অপেক্ষা। আর্লিং হাল্যান্ড ৫৭ মিনিটে গোল করলেও তার আগেই ম্যান সিটি এগিয়ে যেতে পারত। পারেনি হাল্যান্ডের জন্যই। ১৮ মিনিটে তিনি পেনাল্টি নষ্ট করেন বারের উপর দিয়ে শট মেরে। বক্সের মধ্যে ইকের গ্রুন্ডোগানকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন দায়ুত উপামেকানো। কিন্তু হাল্যান্ড পেনাল্টি শটটা নষ্ট করেন। কিন্তু ৫৭ মিনিটে তিনিই সিটির হয়ে গোলটি করেন। এবারও গোলের জন্য দায়ী উপামেকানো। বক্সের মধ্যে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে তিনি পড়ে যান। সামনেই ছিলেন হাল্যান্ড। এবার গোল করতে ভুল করেননি। এটি সিটির হয়ে তাঁর ৪৮তম গোল। নরওয়ের এই ফরোয়ার্দ এবারই বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে সিটিতে এসেছেন। প্রথম মরসুমেই গোলের বন্যা বইয়ে দিলেন তিনি। ৮৩ মিনিটে গোলটি শোধ করে দেন জসুয়া কিমিচ। বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করেছিলেন ম্যানুয়েল আকঞ্জি। তবে এই গোলটা অনেকটা সান্ত্বনা পুরস্কারের মতো। সাত বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন তাই এবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিল।
বায়ার্ন নিজেদের মাঠে ড্র করে টূর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেও ইন্টার মিলান কিন্তু নিজেদের মাঠে বেনফিকার সঙ্গে ৩-৩ করেওসেমিফাইনালে গেল। প্রথম লেগে ইন্টার ২-০ গোলে জিতেছিল। বুধবার মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামে বিরতিতে ম্যাচের ফল ছিল ১-১। ১৪ মিনিটে মিলানের নিকোলে বারেলা দলকে এগিয়ে দিলে ৩৮ মিনিটে বেনফিকার আনসুনেস গোল শোধ করে দেন। এর পর ৬৫ মিনিটে লওতারা মার্টিনেজ এবং ৭৮ মিনিটে জো কোরিয়া গোল করায় মিলান ৩-১ গোলে এগিয়ে যায়। কিন্তু ৮৬ মিনিটে সিলভা এবং ৯৫ মিনিটে মুসা গোল করায় ম্যাচ শেষ হয় ৩-৩ গোলে। সেমিফাইনালে ইন্টার মিলান খেলবে এসি মিলানের সঙ্গে।