শুরুটাও ডুপ্লেসি এবং কোহলি সে রকমই করেছিলেন। বৈভব অরোরা প্রথম ওভারে খেলেন ১০ রান। উমেশ যাদবের পরের ওভারে উঠল ১৯। সে সময় মনে হয়েছিল ১৫ ওভারেই ২০০ রান তাড়া করে নেবে আরসিবি। কিন্তু খেলা ঘুরল তারপরই। তৃতীয় ওভারেই সুযশ শর্মার দ্বিতীয় বলেই ছয় মারতে গিয়ে রিঙ্কু সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিলেন ডুপ্লেসি। এরপর ম্যাক্সওয়েলের জায়গায় শাহবাজ আহমেদকে নামাায় আরসিবি। তবে তা কাজে লাগেনি। মাত্র ২ রান করে ব্যর্থ হন শাহবাজ।
এরপর দায়িত্ব গিয়ে পড়ে সেই ম্যাক্সওয়েল এবং কোহলির উপরেই। তবে শেষ পর্যন্ত আর অঘটন ঘটেনি। হতাশ হয়ে ফিরলেন ম্যাক্সওয়েলও। তাঁকেও আউট করে সুযশ। কভারে ক্যাচ নিলেন ডেভিড উইজা। একাই আরসিবির হয়ে রান তাড়া করছিলেন কোহলি। সঙ্গী পেয়েছিলেন মহিপাল লোমরোরকে। কেকেআরের স্পিনারকে ভালো খেলছিলেন মহিপাল। অন্য দিকে, কোহলিও খেলছিলেন ভালোই। শুধু একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিল কলকাতা। খুব বেশি দেরি করতে হয়েনি তার জন্য। পর পর দু’টি উইকেটই যায় আরসিবির। বরুণের বলে সুইপ করে ছয় মারতে গিয়ে আউট হন মহিপাল। তারপরের ওভারেই কোহলিকে দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরালেন ভেঙ্কটেশ।
কেকেআরের নায়ক হলেন রাসেল, রয় এবং রানা। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রাসেল কোহলির উইকেট নিয়ে নেন। একটি অসাধারণ ক্যাচও নেন। কলকাতার শুরুটা দুর্দান্ত করলেন জেসন রয়। তারপর ধীরে ধীরে ২০০ রানের কাছে পৌঁছে দেন ক্যাপ্টেন নীতীশ রানা। কেকেআরের ব্যাটিংও প্রথম দিকে ভালো হয়ছে। পাওয়ার প্লে-তে বড় ৬ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬৬ রান তোলে কেকআর। কিন্তু তারপরে ৭ থেকে ১০ ওভারের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রানও তুলতে পারেনি কলকাতা। হাল ধরে নীতিশ রানা ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার। দুজনের জুটিতে এল ৮০ রান। কিন্তু রান তোলার গতি অনেকটাই কমে গেল। নীতীশ তবু একটু হাত খুলে খেলার চেষ্টা করছিলেন। তাঁকে অন্য রকম বল দিলেই আর কিছু করতে পারেন না। দুজনের জুটি শেষ হল ১৮তম ওভারে গিয়ে। পরের দিকে নেমে রিঙ্কু সিংহ এবং ডেভিড উইজা আগ্রাসী ক্রিকেট খেললেন। আর ২টি ওবার থাকলেও এই রানটি আরও বেশি হতে পারত বলে মনে করা যায়। তবে শেষ ২ ওভারে এই দুজনের আগ্রাসী খেলা কোনওরকমে ২০০ পর্যন্ত নিয়ে যায় কলকাতাকে।