২০২২ থেকে গুজরাত টাইটান্সের (Gujarat Titans) হয়ে খেলছেন উদীয়মান তারকা। আগের মরশুমে ৪৮৩ রান করেছিলেন তিনি। এ বছরে আট ইনিংসে ৩৩৩ রান করে (গড় ৪১.৬২) ফেলেছেন। গিলকে ধরে রাখলে বিরাট লাভ হত কলকাতার। ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) এই সেদিন ৩৫ বলে ৪৯ রান করলেন এবং তাতে যথেষ্ট হল কেকেআর (KKR)। ভেঙ্কি মাইসোর কিন্তু সেভাবে দেখতেই চাইছেন, উল্টে তিনি খুশি হয়েছেন। তিনি বলেন, যেসব প্লেয়ারদের আমরা ডেভেলপ করেছি, তাদের কেউ কেউ অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিতে গিয়ে ভালো খেললে আসলে আনন্দই হয়। শুভমান গিল একটা উদাহরণ।
এরপরে অবশ্য সিইও স্বীকার করতে বাধ্য হন যে এরকম খেলোয়াড়দের হারাতে খারাপই লাগে, বিশেষ করে তাঁরা যখন ভালো খেলে। ভেঙ্কি বলেন, গতকাল আমি গিলকে বলছিলাম, আমি তোমার ব্যাটিং উপভোগ করছিলাম কিন্তু আশা করছিলাম ম্যাচটা তুমি আমাদের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাবে না। কিছু রান করো কিন্তু আমাদের জিততে দাও।
শুভমানের মতো ক্রিকেটারদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য আইপিএলের নিয়মের দোষ দিয়েছেন কেকেআর সিইও। তিনি বলেন, আইপিএল এবং বিসিসিআইয়ের তৈরি নিয়মের জন্যই আমরা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছি। আমাদের মাত্র চারজন খেলোয়াড় ধরে রাখতে দেওয়া হয়েছিল। এখানেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আমরা সবসময়েই আট-ন’জনকে ধরে রাখতে চাই। কিন্তু তাদের মধ্যে বেছে নিতে হয়েছে চারজনকে। বিষয়টা কঠিন তবে এটাই নিয়ম এবং সবার জন্যই। দিল্লি থেকে যেমন শ্রেয়স আইয়ারকে নিয়েছি আমরা। এরকম অনেক উদাহরণ দিতে পারি।
এ বছর নিলামের আগে আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell), বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারিন (Sunil Narine) এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে ধরে রেখেছিল কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট। ভেঙ্কটেশ আইয়ার (Venkatesh Iyer) খারাপ নন, কিন্তু শুভমানের মতো প্রতিভা কি? যথেষ্ট সন্দেহ আছে। যে ক্রিকেটার এত কম বয়সে তিন ধরনের ক্রিকেটে ভারতের জাতীয় দলে নিয়মিত হয়ে ওঠেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়।