এই প্রথমবার এশিয়া কাপ (Asia Cup) খেলতে চলেছে নেপাল (Nepal)। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির (UAE) বিরুদ্ধে এসিসি প্রিমিয়ার লিগের (ACC Premier League) ফাইনালে সাত উইকেটে জিতেছে পাহাড়ি দেশটি। তাতেই এল ভারত (India), পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে এক টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ। বৃষ্টিতে সোমবার খেলা ভেস্তে যায়। সে সময় ১০৬ রানে ৯ উইকেট পড়ে গিয়েছিল আমিরশাহির। আজ রিজার্ভ ডে-তে সেখান থেকেই খেলা শুরু হয় এবং ১১৭ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা। ব্যাট করতে নেমে দ্রুত তিন উইকেট হারালেও অলরাউন্ডার গুলশন ঝায়ের (Gulshan Jha) অপরাজিত ৬৭ রানের সুবাদে ঐতিহাসিক জয় পায় নেপাল।

কাঠমান্ডুর (Kathmandu) ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটির মাঠে বল পড়ে থমকে আসছিল। স্ট্রোকপ্লেয়িং খুবই কঠিন হয়ে পড়েছিল। যে কারণে ৩৩.১ ওভারে মাত্র ১১৭ রান করতে পেরেছিল ইউএই। নেপালের হয়ে সেরা বোলিং করেন পেসার ললিত রাজবংশী (Lalit Rajbanshi)। ৭.১ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে চার উইকেট নেন তিনি। নামী লেগস্পিনার সন্দীপ লামিচানে (Sandeep Lamichane) ১০ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।

ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তিন উইকেট পড়ে যায় নেপালের। দুই ওপেনার কুশল ভুরতেল, আসিফ শেখ এবং অধিনায়ক রোহিত পডেল প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তবে তাঁর গুলশনকে তিনে নামানোর সিদ্ধান্ত দারুণভাবে কাজ করল। ভীম শারকিকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসে স্থিরতা আনেন গুলশন। ভীম করেন অপরাজিত ৩৬। ৮৪ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন গুলশন। ওই ইনিংসে ছিল তিনটে চার এবং ছ’টা ছয়। এই ইনিংস এবং বল হাতে এক উইকেট নিয়ে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ গুলশনই। টুর্নামেন্টের সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন লামিচানে।

প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন লেগস্পিনার লামিচানে (Sandeep Lamichane)। আন্তর্জাতিক একদিনের ক্রিকেটে সবথেকে কম ম্যাচ খেলে ১০০ উইকেট পান তিনি। এর আগে এই রেকর্ড ছিল আফগান লেগস্পিনার রশিদ খানের (Rashid Khan)। তিনি ৪৪টি ম্যাচে ১০০ উইকেট পেয়েছিলেন। এই কীর্তি সন্দীপ অর্জন করেন ৪২ ম্যাচে। ২১ এপ্রিল এসিসি প্রিমিয়ার কাপে (ACC Premier Cup) ওমানের (Oman) বিরুদ্ধে খেলা ছিল নেপালের। ওমানের আদিল শফিককে আউট করতেই বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী হন ২২ বছর বয়সি নেপালি স্পিনার। এই রেকর্ডের তালিকায় রয়েছে বেশ কিছু বড় নাম। তাঁদের টপকে রেকর্ড গড়া নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।  

Find out more: