একটা জিনিস স্পষ্ট, নীতীশ রানা যতই ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করুন, আইপিএলে নেতৃত্ব তাঁর জন্য নয়। কোন বোলারকে কখন কাজে লাগাতে হবে তার বিন্দুমাত্র আইডিয়া নেই। অনুকূল রায়ের ওভারে হ্যারি ব্রুক আউট হলেন, তারপর মাঝের ওভারে স্পিনারদের নিয়মিত বলই করালেন না। স্পিনারদের নিয়ে যেন মিউজিক্যাল চেয়ার খেললেন। ৫৪ রানে রানে চার উইকেট পড়ার পর সানরাইজার্স আজ জেতার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। এ ম্যাচ তাদেরই জেতার কথা। ভাগ্যের জোরে কেকেআর জিতেছে।
আরও পড়ুন: ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবে বার চালু হচ্ছে আগামি রবিবার
লর্ড শার্দূলের বলে মিস হিট করে আউট হলেন হেনরিখ ক্লাসেন। একটা সময় মনে হচ্ছিল তিনিই হায়দরাবাদকে জিতিয়ে দেবেন। সে সময় শার্দূলকে আনেন রানা, ওই একটাই ভালো সিদ্ধান্ত। না হলে বৈভব অরোরাকে মাঝের ওভারে এনে মার খাওয়ানোর কোনও যুক্তি নেই।
কেকেআরের জন্য আজকের ম্যাচে একটা বাড়তি মোটিভেশন ছিল। ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) এসে কলকাতাকে হারিয়ে দিয়ে গিয়েছিল হায়দরাবাদ। সে ম্যাচে নাইট শিবিরের বোলারদের বেধড়ক ঠেঙিয়েছিলেন ইংলিশ ব্যাটার হ্যারি ব্রুক (Harry Brook)। ৫৫ বলে অপরাজিত ১০০ করেছিলেন তিনি। প্রথমে ব্যাট করে এসআরএইচ করেছিল ২২৮। কেকেআর ব্যাটাররা লড়েছিল, তা সত্ত্বেও হার হয় ২৩ রানে। অধিনায়ক নীতীশ রানা (Nitish Rana) ৪১ বলে ৭৫ করেন এবং রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) ৩১ বলে অপরাজিত ৫৮। বোলাররা রানটা ২০০-র মধ্যে রাখতে পারলে খেলার ফলাফল অন্যরকম হতে পারত।
আজ আবার নীতীশ এবং রিঙ্কু রান করলেন। আজ গুরবাজ ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও উইকেটের পিছনে দুর্দান্ত ছিলেন। তবে দুঃখের বিষয়, এই ম্যাচ ভাগ্যক্রমে জিতলেও কলকাতার ভবিষ্যত খুবই দুর্বল। আর চারটে ম্যাচ বাকি আছে, সেই চারটে জিতবে কি না তাতে ঘোর সন্দেহ।