আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ৭৬টি ম্যাচ খেলে ১৪৯৬ রান করেছেন নায়ার, গড় ২৩.৭৫। ১অটা হাফ সেঞ্চুরি আছে নায়ারের, সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৮৩। ২০২২ সালের আইপিএলে তাঁকে ১.৪০ কোটি টাকায় কিনেছিল রাজস্থান রয়্যালস। আগের বছরের মে মাসে কলকাতার (KKR) বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন, সে ম্যাচে ১৩ বলে ১৩ করেছিলেন নায়ার।
প্রসঙ্গত, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB) বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG) ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে বল তাড়া করতে গিয়ে ডান পায়ের টেন্ডনে চোট পেয়েছিলেন রাহুল। দৌড়নোর ক্ষমতা ছিল না তাঁর, ব্যাট করতে নামেন ১১ নম্বরে। বল ব্যাটে লাগালেও রান নিতে পারেননি তিনি। সেই ম্যাচ ১৮ রানে হেরে যায় রাহুলের লখনউ। অবশ্য তাঁর চোটের খবর চাপা পড়ে গিয়েছিল বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এবং গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) ঝামেলায়।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কে এস ভরতের (KS Bharat) সঙ্গে উইকেটকিপার হিসেবে রাহুলকে জুড়ে দিয়েছিল বিসিসিআই (BCCI)। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ভরতের কিপিং এবং ব্যাটিং দেখে ভরসা হয়নি, সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত। এবার রাহুলের অনুপস্থিতিতে নিশ্চিতভাবে ডাক পাওয়া উচিত ঋদ্ধিমান সাহার (Wriddhiman Saha)। তাঁর থেকে যোগ্য কোনও ব্যক্তির নাম এই মুহূর্তে মনে আসছে না।
টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন হেড কোচ রবি শাস্ত্রী ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছিলেন, রাহুল না থাকলে কিপার হিসেবে অটোম্যাটিক চয়েস ঋদ্ধিমান সাহা। ইংল্যান্ডের ওভালে গ্লাভস হাতে তাঁরই দাঁড়ানো উচিত। সুইঙ্গিং কন্ডিশনে দস্তানা হাতে সামাল দেওয়া ভরতের কম্ম নয়, অন্তত এখন তো নয়ই। গুজরাত টাইটান্সে ঋদ্ধির দলেই রয়েছেন ভরত, কিন্তু খেলছেন ঋদ্ধিই।