আইপিএলে (IPL 2023) কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) যেমন, ঠিক সেই দশা হয়েছে ইপিএলে (EPL) ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের (Manchester United)। কেকেআরের যেমন একদিন বোলাররা ঝোলান, তো অন্যদিন ব্যাটাররা, আবার কোনও কোনও দিন ফিল্ডাররাও ছড়ান। ম্যান ইউতে সাধারণত ডিফেন্ডাররা ঝোলান, আবার যেদিন ডিফেন্স জমাট সেদিন ফরোয়ার্ডদের খেলা জমে না। রবিবার ওয়েস্ট হ্যামের (West Ham) সঙ্গে জিতলে পয়েন্ট টেবিলে তিনে উঠতে পারত এরিক টেন হাগের দল। পরের মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যোগ্যতা অর্জন অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যেত। কিন্তু গোলকিপার দাভিদ দে হেয়া (David De Gea) ক্ষমার অযোগ্য ভুল করলেন। ভুল না বলে অপরাধ বলা উচিত।

২০১৮-র রাশিয়া বিশ্বকাপে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) শট হাত ফস্কে গোল খেয়ে গিয়েছিলেন। সেদিনের পর থেকে উদ্ভট ভুল করে গোল খাওয়া দে হেয়ার প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবিশ্বাস্য সেভ করেছেন এমন উদাহরণ কম নয়, কিন্তু একই সঙ্গে শিশুসুলভ গোল হজম করেছেন প্রচুর। এর সঙ্গে রয়েছে উড়ন্ত বলে তাঁর দুর্বলতা। স্পেনের জাতীয় দল দলে ব্রাত্য গোলরক্ষক ঠিকঠাক লম্বা হলেও চওড়া নন, বরং রোগাই বলা চলে। কর্নার বা ফ্রি-কিকের সময় জটলায় যেতে ভয় পান। কাল কর্নার থেকে একটা গোল হজম করেই ফেলেছিলেন, রেফারি ফাউল দেওয়ায় বেঁচে যান। না হলে একই দিনে দুটো গোলের জন্যই দায়ী হতেন তিনি।

প্রথম গোলের কথায় আসি। খেলার তখন ২৭ মিনিট হবে হবে করছে। মাঝমাঠের একটু উপরে বাঁদিক ঘেঁষে বল পান ওয়েস্ট হ্যামের সাইদ বেনরামা। তিনি কিছুটা দৌড়ে বুঝতে পারেন গতিতে ম্যান ইউ ডিফেন্ডারদের হারাতে পারবেন না, আর পাস দেওয়ার কেউ নেই। খানিকটা মরিয়া হয়ে ২০ গজ দূর থেকে গোলে শট চালান তিনি। সে শট ছিল অতি দুর্বল, ১০ বছরের বাচ্চাও ধরে নেবে। দে হেয়া যা করলেন তা লিখে বোঝানো কঠিন, লাফিয়ে পড়ে বলে হাত লাগালেন, তাও বল জালে জড়িয়ে গেল। আগের ম্যাচে লিউক শ (Luke Shaw), এদিন দে হেয়া, দুটো ভুলের মাশুল গেল ৬ পয়েন্ট। প্রথম চারে থাকার অঙ্ক নিজেরাই কঠিন করে ফেলছেন ব্রুনো ফার্নান্ডেজরা (Bruno Fernandez)। ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছে ফর্মে ফেরা লিভারপুল (Liverpool)। এরপর হারলে বিপদ আছে।

এদিকে এ মরশুমের কালো ঘোড়া নিউকাসলকে ২-০ হারাল আর্সেনাল (Arsenal)। লন্ডনের ক্লাব জানে, লিগ হাতছাড়া প্রায় হয়েই গিয়েছে, ম্যান সিটি পয়েন্ট নষ্ট করবে না। তবু নিজেদের দিক থেকে যা করার করে রাখছে তারা। ১৫ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড (Martin Odegard)। ২৪ বছর বয়সি নরওয়ে মিডফিল্ডারের এটি মরশুমের ১৫ নম্বর গোল। মিডফিল্ডার হিসেবে সবথেকে বেশি গোল করার সেস ফ্যাব্রাগাসের রেকর্ড ছুঁলেন তিনি। ওডেগার্ডের ১৫ গোলে কোনও পেনাল্টি নেই, যা আরও কৃতিত্বের।

Find out more: