এক সময়ে স্পিন সাহায্য করা পিচে এবার কাঁড়ি কাঁড়ি রান উঠছে। প্রথম ইনিংসের গড় রান ২১১ যা অন্য সব মাঠের থেকে বেশি। বিদ্যুৎগতির আউটফিল্ড তো ইডেনের বৈশিষ্ট্য, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে পাটা পিচ। কেকেআর আর পঞ্জাব, দুই দলই ১০টা করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। কেকেআরের পয়েন্ট ৮ এবং পঞ্জাবের পয়েন্ট ১০। আজ জিতলে কলকাতা রান রেটের জোরে পঞ্জাব, মুম্বই (MI) এবং আরসিবিকে (RCB) টপকে সাময়িকভাবে পাঁচে উঠে আসবে। তবে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) এবং বিরাট কোহলিরা (Virat Kohli) পরের ম্যাচে জিতলেই ফের সাতে নেমে যাবে।
কেকেআরের প্লে অফে ওঠার সমীকরণ খুবই জটিল। বাদ বাকি চারটে ম্যাচ জিততে তো হবেই, চেষ্টা করতে হবে যতটা সম্ভব বড় ব্যবধানে জেতা যায়। তাতে রান রেট বাড়িয়ে রাখা যাবে যা লিগ পর্যায়ের শেষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। এই মুহূর্তে রান রেটের বিচারে মুম্বই, পঞ্জাব এবং ব্যাঙ্গালোরের থেকে এগিয়ে কেকেআর। গতকাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে রাজস্থান হেরে যাওয়ায় একটা ক্ষীণ আশার সৃষ্টি হয়েছে। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে রয়্যালরা। আজ পঞ্জাবকে হারালে পয়েন্টে তাদের সমান হবে কলকাতার।
নাইট শিবিরের পথের আসল কাঁটা মুম্বই আর ব্যাঙ্গালোর। তারা না হারলে প্লে অফে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। সে সব মাথায় না রেখে আপাতত আজ পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়াই লক্ষ্য। মোহালি স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে হেরেছিল কলকাতা। আজ বীর-জারার লড়াইয়ে হতে পারে ব্যক্তিগত রেকর্ড। আজ আইপিএলে ৫০টি হাফ-সেঞ্চুরি করার রেকর্ড ছোঁয়ার হাতছানি রয়েছে পঞ্জাব অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানের (Shikhar Dhawan) সামনে। অন্যদিকে আর তিনটে চার মারলেই আইপিএলে ১৫০ বাউন্ডারির মাইলস্টোন পূর্ণ হবে আন্দ্রে রাসেলের (Andre Russell)।