ডু অর ডাই ম্যাচ ছিল। আপাতত এই যাত্রায় রক্ষা পেল কেকেআর (KKR)। আর সেই ম্যাচের রাজা হয়ে স্ব-মহিমায় দেখা গেল রিঙ্কু সিং-কে (Rinku Singh)। এদিন তাঁর সঙ্গ দেন রাসেলও (Andre Russell)। যার ফলে প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনাও জিইয়ে থাকল কলকাতার। নিজেদের মাঠ ইডেনে কার্যত অক্সিজেন পেল নাইট শিবির। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান করে পঞ্জাব (Punjab)। এরপর ১৮০ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে শাহরুখের দল (Shahrukh Khan)। ধীরে ধীরে পড়তে থাকে উইকেট। ক্যাপ্টেন নীতীশ রানা (Nitish Rana) ৫১ রান করে আউট হন। কিন্তু এরই মধ্যে ফর্মে ফেরেন রাসেল। চেনা ছন্দে ধরা দিলেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। পর পর বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মারতে থাকেন তিনি। তিনটি চার ও তিনটি ছয় মেরে ২৩ বলে ৪২ রান করে জয়ের পথ প্রশস্ত করে দেন কেকেআরের।

তবে শেষের দিকেও চাপ ভালই ছিল। শেষ দু' ওভারে বাকি ছিল ২৬ রান। ১৯তম ওভারে ২০ রাসেল-ঝড়ে ২০ রান ওঠে। শেষ ওভারে বাকি ছিল ৬ রান। শেষ দু'বলের মাথায় রান আউট হন রাসেল। তখন বাকি দু'রান। ইডেন জুড়ে শুধু একটাই নাম- 'রিঙ্কু-রিঙ্কু'। সেই সময়েই সফল ফিনিশারের ভূমিকায় ধরা দিলেন এই তরুণ-তুর্কি। শেষ বলে চার মেরে দলকে জেতালেন রিঙ্কু। ৫ উইকেটে জয়ী হয় কেকেআর (Kolkata Knight Riders)। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে উঠে এল নাইট শিবির।

ম্যাচের পর রিঙ্কু বলেন, 'আমি শেষ বল নিয়ে ভাবি না। যে বার পাঁচ বলে পাঁচটা ছক্কা মেরেছিলাম, সে বারও ভাবিনি। আমি শুধু ভেবেছিলাম যদি দৌড়াই তা হলে ম্যাচটা টাই হবে। পাঁচ-সাত নম্বরে খেলতে নামতে হয় আমাকে। আমি অনুশীলনও করি সেই ভাবেই। এখন সহজ হয়ে গিয়েছে।' ম্যাচের সেরা রিঙ্কু হলেও আন্দ্রে রাসেলের মুখেও এদিন শোনা গিয়েছে রিঙ্কুর নাম। বর্তমানে কেকেআরও রিঙ্কুকে ফিনিশারের ভূমিকায় রেখে সেই ভাবেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে। এবার দেখার বাকি তিনটে ম্যাচে ভাগ্যে কী থাকে কেকেআর-এর।

Find out more: