রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি এক সময় বলেছিলেন, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ফল নির্ধারক খেলোয়াড় হচ্ছেন ভিনিসিয়াস।’ কোচের সেই কথাই বারবার প্রমাণ করেছেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা ফুটবলার। ম্যান সিটির বিরুদ্ধে ভিনি বিপরীত স্রোতে ভেসে গিয়ে অসাধারণ গোলটি করেন। তাঁর ওই শর্টটি ছাড়া প্রথমার্ধে আর তেমন কোনও অ্যাটাক দেখা যায়নি রিয়ালের তরফে। প্রথম থেকেই সিটির খেলোয়াড়ররা প্রেসিং ফুটবলের উপর জোড় দিয়েছিলেন। ভিনিসিয়াসের বাড়ানো বল বেনজেমা পেলেও দুর্দান্ত ক্লিয়ার করেন রুবেন দিয়াজ। বলা যেতে পারে সেই সময় ম্যান সিটির রক্ষণ কার্যত আটকে দিয়েছিল লস ব্লাঙ্কোসদের।
৩৪ মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে দারুণ এক পাস দিয়েছিলেন ফেদ্রিকো ভালভার্দে। তবে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য বলে হাত লাগিয়ে হ্যান্ড বলের ফাঁদে পড়েন বেনজেমা। এখান থেকেই হয়তো রিয়ালের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। ঠিক এই ঘটনায় এক মিনিট অর্থাৎ৩৫ মিনিটের মাথায় দূরপাল্লা এক দুর্দান্ত শট খেলে জালে বল জড়ান ভিনি। সান্তিয়াগো বের্নাবাউয়ের দর্শকরা গোল হতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন। ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলারের বুলেট শট ম্যাচের আবহাওয়া পাল্টে দেয়। সিটি অবশ্য প্রথমার্ধেই সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে তাদের প্রচেষ্টা রিয়ালের রক্ষণ ভাঙতে অক্ষম হয়।
বিরতির পর ৪৯ মিনিটে আচমকাই সিটির বক্সে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন বেনজেমা। তবে তাঁর খেলা শট থেকে গোল পায়নি রিয়াল। কিছুক্ষণের মধ্যেই গোল শোধ করার সুযোগ পেলেও ব্যর্থ হব ডি ব্রুইনে। এরপর সুযোগ পান হালান্ড, কিন্তু তাঁকেও আটকে দেন ডেভিড আলাবা। তবে বেশিক্ষণ রিয়ালের রক্ষণ আটকে রাখতে পারেনি ম্যান সিটিকে। ৬৭ মিনিটে সুন্দরভাবে ম্যাচের সমতা ফিরিয়ে আনেন ব্রুইন। তাঁর বিদ্যুৎ গতিতে শট আটকাতে ভ্যাবাচ্যাকা খান কোর্তোয়া। ম্যাচের শেষ পর্যায়ে এসে সিটির রক্ষণের উপর বেশ চাপ তৈরি করেছিল রিয়াল। ঘরের মাঠে জয়ে হাসিল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন ভিনিসিয়াস, বেনজেমারা। তবে তাঁদের সেই চেষ্টা কার্যত বিফলে যায়। অবশেষে ড্র হয় ম্যাচটি। ম্যচের পর ভিনিসিয়াস এবং হালান্ডকে দেখে যায় একে অপরের জার্সি বদল করতে।