বৃহস্পতিবার প্লে-অফে ওঠার স্বপ্নে জল ঢেলে দিল রাজস্থান। এদিন টসে জিতে কলকাতাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান সঞ্জু স্যামসনের দল। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি কেকেআরের। এদিনও ব্যর্থ হয় দলের ওপেনিং জুটি। ট্রেন্ট বোল্টের বলে জেসন রয় ও রহমানুল্লা গুরবাজ অল্প রানে আউট হয়ে যান। বাউন্ডারিতে জেসনের দুরন্ত ক্যাচ ধরেন শিমরন হেটমায়ার। গুরবাজের ক্যাচ ধরলেন সন্দীপ শর্মা।
এরপর ইনিংসের হাল ধরেন নীতীশ রানা ও ভেঙ্কটেশ আইয়ারের জুটি। কিন্তু রাজস্থানের বোলিংয়ের সামনে হাত খুলে খেলতে পারেনি কেকেআর। ২২ রান করে আউট হয়ে যান নীতীশ। ভেঙ্কটেশ ৫৭ রানের ইনিংস কেকেআরকে এগিয়ে নিয়ে যায়। নীতীশকে আউট করে আইপিএলে সর্বাধিক উইকেটের মালিক হলেন চহাল। এরপর ব্যাট করতে নেমে আন্দ্রে রাসেলও আগের ম্যাচের মতো ঝড় তুলতে পারেননি। এদিন রিঙ্কুর ব্যাট থেকেও রান আসেনি। তিনিও শিকার হন চহালের। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৯ রানে শেষ হল কেকেআরের ইনিংস।
কেকেআরের বিরুদ্ধে রাজস্থানের স্পিনারদের পারফরম্য়ান্স দেখে মনে হয়েছিল, কলকাতার স্পিনাররাও হয়তো ভাল বল করবেন। প্রথম ওভারে বল করতে যান নীতীশ। আর প্রথম ওভারেই খেলার ফল নিশ্চিত করে দেন যশস্বী। প্রথম ওভারে তিনি ২৬ রান করেন। সেই যে শুরু করলেন তার পরে আর থামানো যায়নি তাঁকে। মাত্র ১৩ বলে আইপিএলের ইতিহাসের দ্রুততম অর্ধশতরান করেন যশস্বী। লোকেস রাহুল ও প্যাট কামিন্সের নজির ভেঙে দিলেন তিনি।
বাটলার শূন্য রানে রান আউট হলেও রাজস্থানের ব্যাটিংয়ে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। কারণ, যশস্বীর বিধ্বংসী ব্যাটিং কেকেআরের বোলারকে ধোপে টিকতে দেয়নি। দেখে মনে হচ্ছিল, ক্রিকেট বলকে ফুটবলের মতো দেখছেন যশস্বী। পাওয়ার প্লে-তেই ৭৮ রান তুলে ফেলে রাজস্থান। সব বোলারকে ব্যবহার করেন নীতীশ। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। যশস্বী ও সঞ্জুর ইনিংস কেকেআরে বোলারদের কপালে ভাঁজ ফেলে দেয়।
শেষ দিকে শতরান করারও সুযোগ আসে যশস্বীর সামনে। ২ রানের জন্য শতরানে পৌঁছতে পারেননি যশস্বী। ৪৭ বলে ৯৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এদিকে সঞ্জু অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৪৮ রানে। ৪১ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় রাজস্থান। বাল যেতে পারে, গতকাল হেরে কার্যত এবারের আইপিএলেপ প্লে-অফ থেকে বিদায় কেকেআরের।