আজ সারাদিনে তিনটে সেঞ্চুরি হল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (Sunrisers Hyderabad) ২০১ রানের টার্গেট হেলায় তুলে দিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। জীবনের প্রথম টি-টোয়েন্টি শতরান করলেন ক্যামেরন গ্রিন। ৪৭ বলে তাঁর অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস ১৬ পয়েন্টে পৌঁছে দিল রোহিত শর্মাদের। তবে জিতেও শান্তি নেই, মুম্বইকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরসিবির হারের। ফাফ ডু প্লেসি এবং কোহলি যেভাবে ইনিংস শুরু করেছিলেন তাতে মুম্বই শিবিরে নি:সন্দেহে চাপ বেড়ে গিয়েছিল। ফাফ আউট হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আউট। এরপর লোমরোরও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ওখানেই আরসিবির রান ওঠার গতি কমে যায়। কিন্তু আবারও জ্বলে ওঠেন কোহলি। পরপর দুই ম্যাচে শতরান হাঁকালেন তিনি। ২০ ওভারে ১৯৭ করল ব্যাঙ্গালোর।
কোহলি-ভক্তরা ততক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেমে পড়েছেন। তাঁকে নানাবিধ বিশেষণে, উপাধিতে ভূষিত করে চলছে স্তুতি। কিন্তু তখন কে আর জানত, বর্তমান সেরার মঞ্চ কেড়ে নেবেন ভবিষ্যতের ভারতীয় ক্রিকেটের মুখ। কিছুদিন আগেই গিলের সেঞ্চুরির পর টুইট করে প্রশংসা করেন কোহলি। বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নেতৃত্ব দেবেন তাঁর উত্তরসূরিই। যেমন বাবর আজম, স্টিভ স্মিথ, জো রুট, কেন উইলিয়ামসদের সময়ে কোহলিই নেতৃত্ব দেন। গিলের জন্য বহু সময় পড়ে আছে। কিন্তু সম্ভবত সবুরে মেওয়া ফলে প্রবাদটা তিনি শোনেননি। এখনই, এই মুহূর্তে নিজেকে প্রমাণ করতে চান, এবং করছেনও।
৫২ বলে অপরাজিত ১০৪ রানের ইনিংসে অসহায় দেখাল আরসিবিকে, অসহায় বোধ করল গোটা চিন্নাস্বামীর দর্শক। দলের আকস্মিক বিদায়ে শোকপ্রকাশ করবেন নাকি শুভমান গিল নামক চরম প্রতিভাকে সাধুবাদ জানাবেন, বুঝে পেলেন না তাঁরা। পাঁচ বল বাকি থাকতেই জিতল গুজরাত টাইটান্স আর তার ফলে প্লে অফে চলে গেল মুম্বই। অর্থাৎ কোয়ালিফায়ার ওয়ানে গুজরাতের মুখোমুখি এম এস ধোনির সিএসকে। এলিমিনেটরে মুম্বই খেলবে লখনউয়ের বিরুদ্ধে।