বেইলি বলেন, সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার খুব কাছে ছিল জশ। কিন্তু আমাদের যা সূচি (ফাইনালের পরেই পাঁচ টেস্টের সিরিজ) রয়েছে তাতে শুধুমাত্র একটা টেস্টের কথা ভাবলে হবে না। ও না খেলায় এজবাস্টনের জন্য সঠিকভাবে তৈরি হতে পারবে। সাত সপ্তাহে ছ’টি টেস্ট খেলতে হবে, তাই আমাদের সমস্ত পেস বোলিং সম্পদই কাজে লাগবে। নির্বাচকের কথা থেকেই পরিষ্কার, পেসারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করা হতে পারে।
এদিকে মাইকেল নেসের ঢুকলেও প্রথম দলে খেলার সম্ভাবনা স্কট বোল্যান্ডের (Scott Boland)। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং মিচেল স্টার্কের সঙ্গে পেস-ত্রিফলায় থাকবেন বোল্যান্ডই। তাঁর হয়ে বেশ কিছুদিন আগে সওয়াল করেছিলেন কিংবদন্তি অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং (Ricky Ponting)। তিনি বলেন, শেষ ১২ মাসে যখনই খেলেছে বোল্যান্ডের রেকর্ড দারুণ। ইংলিশ কন্ডিশনে সফল হওয়ার ক্ষমতা ওর মধ্যে আছে। পিচে সাহায্য থাকলে ও বল হাতে কী করতে পারে আমরা সবাই দেখেছি। তাই আমার মনে হয় নেসেরের আগে ওকেই রাখা উচিত।
এদিকে ভারতীয় দলের তুরুপের তাস হিসেবে মহম্মদ শামিকে (Mohammad Shami) বাছলেন পন্টিং। আইসিসিকে (ICC) দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘পান্টার’ বলেন, ভারতকে জিততে হলে শামিকে এগিয়ে আসতে হবে এবং ওর খেলা অন্য পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের সঙ্গে কথা বললেই জানা যাবে, শামি কত ভালো বোলার তা ওরা বোঝে। সে নতুন বল হোক কিংবা পুরনো, ভারতে হোক কিংবা অস্ট্রেলিয়ায়।
নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) বিরুদ্ধে আগের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে শামির সঙ্গী ছিলেন বুমরা এবং ইশান্ত শর্মা (Ishant Sharma)। এবার সঙ্গী সিরাজ, যিনি ভারতের হয়ে সবধরনের ফর্ম্যাটের বোলার হয়ে উঠেছেন। তবে অভিজ্ঞ হিসেবে বেশি দায়িত্ব নিতে হবে বাংলার পেসারকেই। ট্রাভিস হেড (Travis Head), উসমান খোয়াজা (Usman Khawaja), স্টিভ স্মিথ (Steve Smith) এবং মার্নাস লাবুশেনদের (Marnus Labuschagne) নিয়ে গড়া অজি ব্যাটিং অর্ডার ভাঙতে হবে তাঁকেই।