তাঁর মতে ক্রিকেটারদের শিডিউলে আইপিএলের একাধিপত্য এসে গিয়েছে। দুনিয়াজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার জন্য নিউজিল্যান্ড বোর্ডের চুক্তিতে সই করেননি ট্রেন্ট বোল্ট (Trent Boult)। কামিন্স বলেন, এটা অবশ্যম্ভাবী ছিল, এবার ঘটতে শুরু করেছে। খেলোয়াড়দের সময়ের উপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের একচেটিয়া অধিকার নেই, যেমনটা অতীতে ছিল। আইপিএল এক দশক আগে তাতে বদল এনেছে। কিন্তু এবার আরও অনেক কিছু ঘটবে এর সঙ্গেই, তাই আমাদের অতিসক্রিয় হতে হবে।
কামিন্স চান, লোভনীয় অর্থের ফ্র্যাঞ্চাইজি-ক্রিকেটের যুগে তাঁর সহ খেলোয়াড়রা যেন দেশের হয়ে খেলাকেই অগ্রাধিকার দেন। তিনি বলেন, আমাদের অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলাটাকে যতটা সম্ভব স্পেশাল করে তুলতে হবে, উঁচুদরের পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হবে যাতে প্রত্যেক খেলোয়াড় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে চায়। এটাই চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। কামিন্সের আশঙ্কা, ক্রিকেট ভবিষ্যতে ফুটবলের মতো হয়ে যেতে পারে। ফুটবলে আন্তর্জাতিক সূচি তৈরি করতে আগে ক্লাব ফুটবল সূচির ছাড়পত্র পেতে হয়।
তিনি বলছেন, আমি সেই দিন দেখতে পাচ্ছি, যেটা ভবিষ্যতে ঘটবে, যেমনটা অন্যান্য খেলায় ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে। তাই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা কেন স্পেশাল সেই ব্যাপারটাই আমাদের বুঝিয়ে যেতে হবে। আমরা এখনও চাই, সেরা প্লেয়াররা বিশ্বকাপ জিতুক, বড় বড় সিরিজ জিতুক। কিন্তু নিঃসন্দেহে আগের থেকে এখন আগ্রহের অপশন বেড়ে গিয়েছে। অবশ্যই আইপিএল সহ বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের কথাই বলতে চেয়েছেন কামিন্স। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের প্রচুর অর্থের লোভ সামলানো সহজ নয়, মত অজি পেসারের। তিনি নিজেও দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (বর্তমানে দিল্লি ক্যাপিটালস) এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল খেলেছিলেন।