![](https://www.indiaherald.com/cdn-cgi/image/width=750/imagestore/images/sports/libra_libra/zlatan-ibrahimovic-retires-from-football86d31482-5251-487e-9f35-23497dabb027-415x250.jpg)
ম্যাচ শেষে সান সিরো স্টেডিয়ামের (San Siro Stadium) ঘাসে নেমে আসেন সুইডিশ মহাতারকা। মিলান সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, এই মাঠে আমার বহু স্মৃতি, বহু আবেগ রয়েছে। প্রথমবার যখন এসেছিলাম, তোমরা আমায় আনন্দ দিয়েছিলে। দ্বিতীয়বার যখন এলাম, ভালোবাসা দিয়েছ। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, বিশেষ করে সমর্থকদের। সারাজীবন আমি মিলান সমর্থক হয়ে থাকব। সময় এসেছে ফুটবলকে বিদায় জানানোর, কিন্তু তোমাদের বিদায় জানাচ্ছি না। তোমরা ভাগ্যবান হলে আমার সঙ্গে দেখা হবে।
৪১ বছর বয়স পর্যন্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলেছেন ইব্রা, যদিও শেষ মরশুমে মাঠে নেমেছেন খুব কমই। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) এবং লিওনেল মেসির (Lionel Messi) দাপটের যুগে হাতেগোনা যে ক'জন স্বকীয় প্রতিভা এবং বৈশিষ্ট্যের ছাপ রেখেছেন, ইব্রাহিমোভিচ তাঁদের একজন। সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার হিসেবেই তাঁকে মনে রাখবে ফুটবল বিশ্ব। উদ্ধত, চড়া মেজাজ, কাউকে ভয় না পাওয়া ফুটবলারটির খেলাও ছিল মানানসই। ক্লাব এবং দেশের হয়ে সবমিলিয়ে ৫৬০টি গোল করেছেন তিনি। প্রকাণ্ড চেহারা সত্ত্বেও তাঁর অবিশ্বাস্য ফিটনেস দেখে চমকে গিয়েছে বিশ্ব। 'অবিশ্বাস্য' গোল করা ছিল তাঁর কাছে জলভাত। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে ব্যাক ভলিতে গোল ভোলার নয়, কিংবা তাঁর কুংফু ক্যারাটের স্টাইলে ডান পায়ের শটে গোল, কিংবা আয়াখসের হয়ে একের পর এক ডিফেন্ডার এবং গোলকিপারকে কাটিয়ে করা গোল, তালিকা অনেক লম্বা।
দীর্ঘ ফুটবল জীবনে বহু বড় বড় ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ইব্রা। আয়াখস, ইন্টার মিলান, জুভেন্তাস, এসি মিলান (দু'বার), বার্সেলোনা, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, আমেরিকার এলএ গ্যালাক্সি। যেখানেই গিয়েছেন, গোল করেছেন, মাঠ মাতিয়েছেন, সমর্থকদের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন।