প্রথম দিনের শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩৩৯ রান করে ফেলেছে অজিরা। ৮৫ রানে নট আউট স্টিভ স্মিথ (Steve Smith), আরও একটা টেস্ট সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছেন 'আধুনিক ডন'। তবে তাঁর ইনিংসের থেকেও ইংল্যান্ডকে ব্যথা দিলেন ট্রাভিস হেড (Travis Head) এবং ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner)। পথ দেখিয়েছিলেন ওয়ার্নারই। মেঘলা আকাশ, বল এক হাত সুইং করছে, তার উপর লর্ডসের পিচের সেই বিখ্যাত ঢাল। ওয়ার্নার বুঝলেন শুধু ডিফেন্স করলে বিপদ আছে। যে কোনও একটা বল উইকেটের পরোয়ানা নিয়ে আসবে। তাই পালটা ব্যাট চালালেন। অ্যান্ডারসনকে স্কুপও করার চেষ্টা করলেন। ৬৬ রান করলেন ৮৮ বলে, ইনিংসে আটটি চার একটি ছয়।
মাঝখানে স্মিথ-লাবুশেন জুটি টেস্ট ক্রিকেটের ধাঁচেই ব্যাট করছিল। হেড নামতেই শুরু ওয়ান ডে খেলা। তাঁর স্ট্রোক প্লেতে দিশেহারা দেখাচ্ছিল ইংলিশ বোলারদের। হেড ৭৭ রান করলেন ৭৩ বলে। ইনিংসে ১৪টা বাউন্ডারি। জো রুটকে ছয় মারতে গিয়েই স্টাম্পড হলেন, তবে ততক্ষণে ইংল্যান্ড ধরাশায়ী। হেড দাঁড়িয়ে গেলে কতটা বিপজ্জনক হতে পারেন তা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিল ভারত।
দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ডের একটাই লক্ষ্য, বাকি পাঁচ উইকেট যত দ্রুত সম্ভব ফেলা এবং অবশ্যই স্মিথকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখানো। প্রথম দিন ইংলিশ পেসাররা একেবারেই ছন্দে ছিলেন না, লাইন-লেন্থ ছড়িয়েছে সবার, আজ সেদিকে নজর দিতেই হবে।অস্ট্রেলিয়া ৪০০-৪৫০ করে ফেললে বেন স্টোকসরা চাপে পড়ে যাবেন। সবসময় বাজবল কাজ নাও করতে পারে। লর্ডস টেস্টের আর একটা ফ্যাক্টর হতে পারে বৃষ্টি। প্রথম দিন এই কারণে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। বাকি চারদিনও এমন কিছু হতেই পারে, কাজেই দ্রুত রান তোলা দরকার।