তবে ডাগ আউটে স্টিমাকের চেয়ে মাঠের মধ্যে ঝিঙ্গনকে না পাওয়াটা সুনীল ছেত্রীদের কাছে বড় ধাক্কা। নেপাল ম্যাচে সন্দেশকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন স্টিমাক। সেদিন সেন্টার ব্যাকে সন্দেশের বদলে খেলেছিলেন রাহুল বেকে। শনিবার কে খেলেন তাই এখন দেখার। এমনিতে লেবাননকে নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে লেবাননই একমাত্র দল যারা গ্রুপের তিনটি ম্যাচই জিতেছে। গ্রুপ বি থেকে তাদের সঙ্গে সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। শনিবার ভারত-লেবানন ম্যাচের আগে কুয়েত-বাংলাদেশ সেমিফাইনাল ম্যাচ। ফাইনাল ৪ জুলাই, মঙ্গলবার। পাকিস্তান ও কুয়েত ম্যাচে লাল কার্ড দেখার জন্য স্টিমাককে শো কজ করেছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। সেই শো কজের জবাবও দিয়েছেন তিনি। তবে মুখে বলেছেন, দলের জন্য আবার লাল কার্ড দেখতে তিনি পিছপা হবেন না।
ভারত অবশ্য এখন স্টিমাকের লাল কার্ড নিয়ে ভাবছে না। তাদের ভাবনায় শুধু লেবানন। আন্তঃ মহাদেশীয় কাপের রাউন্ড রবিন লিগে লেবাননের সঙ্গে ড্র হলেও ফাইনালে ভারত ২-০ গোলে জিতেছিল এই দুটো গোলের একটা করেছিলেন সুনীল ছেত্রী। সাফ কাপের তিনটি ম্যাচে পাঁচটি গোল করা হয়ে গেছে তাঁর। দেশের জার্সিতে ৯২টি। তবে এখন এই সব নিয়ে তাঁর কোনও মাথা ব্যথা নেই। সুনীলের পাখির চোখ এখন সাফ কাপে। বলেছেন, " কটা গোল করলাম সেটা বড় কথা নয়। আমার চাই ট্রফিটা।" আট বারের সাফ চ্যাম্পিয়ন ভারত এবার জিতলে মোট নয় বার চ্যাম্পিয়ন হবে। কুয়েত ম্যাচের শেষ দিকে আনোয়ার আলির পায়ে লেগে বল ঢুকে গিয়েছিল গোলে। সেজন্য জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে ভারতের। সুনীল পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর ডিফেন্ডারের। বলেছেন, "আনোয়ার গোল খায়নি। গোল খেয়েছে ভারত। আমদের মধ্যে কে কখন ভুল করবে কেউ জানে না। আমরা স্ট্রাইকাররা গোল মিস করি। ডিফেন্ডাররা গোল খায়। এটা কারুর ব্যাক্তিগত দোষ নয়। টিমের দোষ। এই ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে।"
লেবানন ম্যাচে সন্দেশ ঝিঙ্গনকে পাওয়া যাবে না। তা নিয়েও সুনীল খুব চিন্তিত নন। ভারত অধিনায়ক বলেছেন, "সন্দেশ আমাদের টিমের এক নম্বর ডিফেন্ডার। ওকে না পাওয়াটা দুর্ভাগ্যের। তবে যারা আছে তারাও খারাপ নয়। তারাও ঠিক মানিয়ে নেবে।" সব মিলিয়ে লেবাননকে হারানো ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না ভারত।