এই পদে বসার জন্য সবথেকে জোরালো নাম ছিল অজিত আগরকরেরই। ভারতের হয়ে ২৬টি টেস্ট, ১৯১টি ওয়ান ডে এবং চারটি টি২০ খেলেছেন তিনি। মুম্বই-জাত পেসারের নাম আগেও প্রধান নির্বাচকের জন্য ভেসে উঠেছিল। এবার হয়তো পদ পাবেন তিনি, এমনটাই ভাবা হচ্ছিল। তাই হল। তবে আগরকর ছাড়াও শোনা গিয়েছিল রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri) এবং দিলীপ ভেঙ্গসরকারের (Dilip Vengsarkar) নাম। ক্রিকেটের প্রশাসনিক পদের জন্য আগরকরের থেকে নিঃসন্দেহে যোগ্য নাম ছিলেন তাঁরা।
এ ক’দিন জাতীয় নির্বাচক ছিলেন চারজন— শিবসুন্দর দাস, সলিল আঙ্কোলা, সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শ্রীধরন শরদ। এই চারজনের মাথাতেই বসানো হল আগরকরকে। বিসিসিআই-এর এক সূত্র জানিয়েছিলেন, চারজনের মধ্যে বিভিন্ন সময় মতপার্থক্য হতে পারে। সেক্ষেত্রে শেষ কথা বলেন প্রধান নির্বাচক। এই মুহূর্তে শিবসুন্দর দাস সেই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তবে এই চারজনের থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা আগরকরের অনেক বেশি, ফলে তিনিই পদ পেলেন।
প্রধান নির্বাচকের নিযুক্তি এমন এক সময়ে ঘটল যখন কিছুটা অস্বস্তিকর সময় চলছে ভারতীয় ক্রিকেটের। ক্রমাগত আইসিসি আয়োজিত প্রতিযোগিতায় (ICC Tournament) ব্যর্থতা, দল নির্বাচন ইত্যাদি নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (WTC Final 2023) ফাইনালে হার নিয়েও অসন্তোষ দেখা গিয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে (West Indies Tour) চেতেশ্বর পুজারাকে (Cheteshwar Pujara) বাদ দেওয়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন সুনীল গাভাসকরের (Sunil Gavaskar) মতো কিংবদন্তি। দল ঘোষণা কেন সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে হয় না তা নিয়েও বিস্মিত তিনি। সানি চাইছেন যেন দল নির্বাচন নিয়ে কাউকে প্রশ্ন করা যায়, কেন অমুককে বাদ দেওয়া হল বা কেন তমুককে দলে নেওয়া হল এসব জানা যায়। প্রধান নির্বাচক এসে গেলে তাঁকেই কৈফিয়ত দিতে হবে।