দুর্বল দলের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই আগ্রাসী খেলা শুরু করে মোহনবাগান। এই দলের বেশ কিছু ফুটবলার আইএসএলে নিয়মিত খেলেন। ফলে দু’দলের পার্থক্যটা শুরু থেকেই ধরা পড়ছিল। ২৫ মিনিটে মোহনবাগানের প্রথম গোল। মাঝ মাঠ থেকে একাই বল নিয়ে দৌড়েছিলেন সুহেল। দেখেন বিপক্ষ গোলকিপার বিক্রম পারিয়া অনেকটা এগিয়ে এসেছেন। নিখুঁত ভাবে তাঁর মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়ান সুহেল।
বিরতির দু’মিনিট আগে আবার দলের ব্যবধান বাড়ান তিনি। ডান দিক থেকে ক্রস ভেসে এসেছিল। শটে গোল করেন সুহেল। প্রথমার্ধে ২-০ এগিয়েছিল মোহনবাগান। বিরতির চার মিনিট পরেই হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন সুহেল। বক্সের মধ্যে তাঁকে ঠেলে ফেলে দিয়েছিলেন বিপক্ষের ফুটবলার। পেনাল্টি থেকে নিখুঁত শটে গোল করেন সুহেল।
৬০ মিনিটে মোহনবাগানের চতুর্থ গোল করেন ফারদিন আলি মোল্লা। এ বার বাঁ দিক থেকে ভেসে আসা ক্রস ডালহৌসির এক ফুটবলারের গায়ে লাগে। গোলকিপার তার নাগাল পাননি। ফারদিন অনায়াসে বল জালে জড়িয়ে দেন। ছ’মিনিট পরে ব্যবধান কমান ডালহৌসির শিবা হরি। ৮৫ মিনিটে আবার গোল করেন ফারদিন। বিনয়ের পাস থেকে নিখুঁত টাচে গোল করেন তরুণ ফুটবলার। অতিরিক্ত সময়ে ডালহৌসির হয়ে আর একটি গোল করেন আভাস কুণ্ডু।
দীর্ঘ দিন বাদে নিজেদের মাঠে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। ফলে দর্শকদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। বেলা থেকে সমর্থকদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। মোহনবাগানের প্রতিটি গোলের পরেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে জনতা।