একটি টুইট করেছেন ফিঞ্চ। তাতে লিখেছেন, “ক্ষমা চাইছি। আবহাওয়ার উপরে নিয়ন্ত্রণ ছিল প্যাট এবং তাঁর দলের।” ইংলিশ মিডিয়ার লেগ পুল করতে এটুকুই যথেষ্ট। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে একেই বলে। আর এক অজি প্রাক্তনও ছেড়ে কথা বলেননি। বৃষ্টির জন্য সিরিজ জিততে পারলাম না, ইংল্যান্ডের এই অজুহাতকে উড়িয়ে দিয়ে ড্যামিয়েন মার্টিন (Damien Martin) বলেন, সিরিজ জিততে হলে ২-০ পিছিয়ে যেতে নেই। এই সিরিজে ইংল্যান্ড প্রথম দুটো টেস্ট হেরে গিয়েছিল। সেখান থেকে হেডিংলিতে ২-১ করেন বেন স্টোকসরা (Ben Stokes)।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে (Old Trafford) পাল্লা ভারী ছিল ইংল্যান্ডেরই। চতুর্থ দিনেও বৃষ্টির খেলা চার ঘণ্টা পরে শুরু হয়েছিল। আবার বন্ধও হয়ে যায় আগে আগে। সে সময় পাঁচ উইকেটে ২১৪ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তখনও ইংল্যান্ড ৬১ রানে এগিয়ে। পঞ্চম দিনে তাই ফলাফল হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বিধি বাম। মাঠে নামতেই পারলেন না স্টোকসরা। এই টেস্ট জিতলে সিরিজ ২-২ হয়ে যেত এবং ওভাল টেস্ট হয়ে যেত কার্যত ফাইনাল। গোটা সিরিজ জুড়ে যে পরিমাণ উত্তেজনা, বিতর্ক হয়েছে তা ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছতে পারত। কিন্তু সবকিছু ঠান্ডা করে দিল বৃষ্টি। এবার সিরিজ ড্র রাখতে ইংল্যান্ডকে ওভালে জিততেই হবে। এদিকে ড্র করলেই সিরিজ প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins) অস্ট্রেলিয়ার।
আগামী ২৭ জুন (বৃহস্পতিবার) ওভালের মাঠে সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ ম্যাচ। দুর্ভাগ্যের হতাশা কাটিয়ে দ্রুত ছন্দে ফিরতে হবে ইংলিশদের, চাঙ্গা করতে হবে। অন্ততপক্ষে সিরিজ ড্র তাদের করতেই হবে। স্টোকস বলেছেন, “শেষ ম্যাচ আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা জানি। অবশ্যই আমরা এই গ্রীষ্মের টেস্ট মরশুম জয় দিয়ে শেষ করতে চাই। এখনও পর্যন্ত অবিশ্বাস্য সমর্থন পেয়েছি আমরা এবং আশাকরি শেষ টেস্টেও পাব এবং জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করব।”