মঙ্গলবার কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। এদিন কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.১ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.২ ডিগ্রি । বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬৬ থেকে ৯২ শতাংশ। জলীয় বাষ্পের কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। তবে আগামী পাঁচ সাত দিন ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় দিনে ও রাতে অস্বস্তি হবে। ২৯ শে জুলাই শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে।
মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের কোনও জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস নেই। উপরের পাঁচটি জেলায় দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে কিছুটা বেশি বৃষ্টি হতে পারে। উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় হালকা বর্ষণের পূর্বাভাস আছে। বৃহস্পতিবার থেকে দার্জিলিং জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার এই তিন জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে দু' এক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে তাপমাত্রার কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আগামী কয়েকদিনে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, বিদর্ভ, ছত্রিশগড়, কঙ্কন, গোয়া ঘাট ও মধ্য মহারাষ্ট্র এলাকায়। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কর্নাটক, তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি, করাইকাল, কেরালা ও মাহেতে। ভারী বৃষ্টি হবে অন্ধ্রপ্রদেশ, ইয়ানাম, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা, অরুণাচল প্রদেশ, আসাম ও মেঘালয়ে।
মৌসম ভবন জানচ্ছে, একটি ঘুর্নাবর্ত রয়েছে বিদর্ভ ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশ সংলগ্ন এলাকায়। মৌসুমী অক্ষরেখা দিশা ইন্দোর ডোমহা পেন্ড্রারোড জগদলপুর এরপর দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের নিম্নচাপ এলাকার ওপর দিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্বদিকে এগিয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। আজ নতুন করে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ সংলগ্ন উপকূলে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই এলাকায় নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধীরে ধীরে এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই মুহূর্তে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে গুজরাটের কচ্ছ সংলগ্ন এলাকায় ও মধ্য প্রদেশের বিদর্ভ ছত্তীসগঢ় সংলগ্ন এলাকায়।