শেই হোপদের (Shai Hope) এত অল্প রানে গুটিয়ে দিতে প্রধান ভূমিকা নিয়েছেন স্পিনাররা। রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja) মিডল অর্ডার ভাঙলেন। শেষের দিকে বুলডোজার চালালেন কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav)। তাঁর বলের কোনও হদিশই পায়নি ক্যারিবিয়ান লোয়ার অর্ডার। ৩ ওভার বল করে মাত্র ৬ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়ে তিনিই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। পারফর্ম্যান্স ধরে রাখতে পারলে কুলদীপের চায়নাম্যান বোলিং কিন্তু বিশ্বকাপে ভারতের তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারে।
এই সফরটা আসলে টিম ইন্ডিয়ার (Team India) এক্সপেরিমেন্টের সফর। বিশ্বকাপের আগে সবাইকে পরখ করে নেওয়া। এদিন যেমন শুভমান গিলের (Shubhman Gill) সঙ্গে নিজে ওপেন না করে ঈশান কিষাণকে (Ishan Kishan) পাঠিয়ে দিলেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) অনুপস্থিতিতে ঈশানেই ভরসা করছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। এই মরশুমটা তিন ফর্ম্যাটেই তাঁকে দেখা যাবে, যদি না ঈশান নিজে খারাপ পারফর্ম্যান্স করেন। বৃহস্পতিবার যেমন অধিনায়কের আস্থার মর্যাদা দিয়ে হাফ সেঞ্চুরি করলেন। তাঁর ৪৬ বলে ৫২ রানের ইনিংসে ছিল সাতটা চার, একটা ছয়। তবে ম্যাচটা তাঁর শেষ করে আসা উচিত ছিল।
চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে ক্রিজে আসেন শার্দূল ঠাকুর (Shardul Thakur)। বোঝাই যাচ্ছিল, রোহিত কিংবা বিরাট কেউ নামতে চান না। কিন্তু রোহিতকে সেই নামতেই হল, কারণ খারাপ শট খেলে আউট হলেন শার্দূল। অন্যদিকে টিকে থাকা জাদেজা এবং ভারত অধিনায়ক খেলা শেষ করলেন। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ভারত। এর পরের খেলা ২৯ জুলাই (শনিবার)।