জেতার জন্য লক্ষ্যমাত্রা মাত্র ১১৫ রান। রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) এবং ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট তাই ব্যাটিং অর্ডারে কিছুটা বদল আনলেন। নিজে ওপেন না করে শুভমান গিলের (Shubman Gill) সঙ্গে ঈশানকে পাঠালেন ভারত অধিনায়ক। তিনে কোহলি (Virat Kohli) না পাঠিয়ে নামানো হল সূর্যকুমার যাদবকে (Surya Kumar Yadav)। চারে নামলেন হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya) এবং পাঁচে শার্দূল ঠাকুর (Shardul Thakur)। কেউ ওই সামান্য রান করে আসতে পারলেন না, শেষ পর্যন্ত জাদেজাকে সঙ্গী করে তীরে তরী আনতে হল রোহিতকেই।
সবথেকে বেশি আশ্চর্য লাগছে শুভমানকে দেখে। তাঁকে ভারতীয় ক্রিকেটের পরবর্তী সুপারস্টার, পরবর্তী পোস্টার বয় ভাবা হচ্ছে। শচীন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলির পর ব্যাটন তাঁর হাতে যাবে। কিন্তু ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে তাঁর ব্যাটে খরা। টেস্ট সিরিজে হতাশ করেছেন, একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র ৭ রান করে সাজঘরে ফিরলেন। তাও আবার স্লিপে খোঁচা দিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনামী পেসারের সুইংয়েই যদি এরকম হয় তাহলে বিশ্বকাপে কী হবে?
আর একজন সূর্যকুমার। টি-২০ ক্রিকেটের রত্ন কিন্তু আজও ৫০ ওভারের ফর্ম্যাট বুঝে উঠতে পারলেন না। সব বলেই বাউন্ডারি মারতে হবে বা রান করতে হবে এমন নয়, বিশেষ করে যেখানে বল ভালো ঘুরছে। বলের লেন্থ না বুঝে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু হলেন সূর্য। হার্দিক পান্ডিয়ার আউটটা দুর্ভাগ্যজনক ঠিকই কিন্তু তার আগেই ক্যারিবিয়ান লেগস্পিনার ইয়ানিক ক্যারিয়ার বলে আউট হয়ে যাওয়ার কথা তাঁর। নেহাত তাঁর ব্যাটে এজ লাগা সহজ ক্যাচ স্লিপে দাঁড়ানোর ফিল্ডার মিস করেছিলেন।
শার্দূল ঠাকুরও ওই ক্যারিয়ার বলে খোঁচা দিলেন এবং স্লিপে আউট হলেন। পিচে বল ঘুরলেই যদি ভারতীয় ব্যাটারদের এই হাল হয় তাহলে মুশকিল। বিশ্বকাপ হবে ভারতে, সেখানে পিচ স্পিনারদেরই সাহায্য করে।