আগের ম্যাচে কালীঘাট মিলন সঙ্ঘের সঙ্গে ড্র করেছিল মোহনবাগান। তারপর একদিনের ব্যবধানে ম্যাচ খেলতে হল তাদের এবং তাও আবার বাইরের মাঠে। তাই বাস্তব রায়ের ছেলেরা শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ম্যাচের শুরুতেই দুটি কর্নার পায় মোহনবাগান। কিন্তু তা থেকে গোল হয়নি। পরে আরও দুটো কর্নারের একটা থেকে গোল হয়। কিন্তু সেটা বাতিল হয় অফ সাইডের জন্য। কিন্তু বাগানের আক্রমণের ঝাঁঝ কিন্তু কমেনি। মাঝে একটা প্রতিআক্রমণ থেকে গোল করতে পারত সি এফ সি। কিন্তু পারেনি। ৩১ মিনিটে প্রথম গোল করে মোহনবাগান। বাঁ দিক থেকে আউটসাইড ডজে বিপক্ষের গোলের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন সুহেল। তারপর আচমকা ভেতরে ঢুকে ভাল শটে গোল করেন তিনি।
মিনিট দশেকের মধ্যে সমতা ফেরায় সিএফসি। প্রায় পঁচিশ গজ দূর থেকে শটে গোল করেন অ্যালেক্স আকাশ মণ্ডল। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামার কয়েক মিনিটের মধ্যে গোল করেন আকাশ। তবে গোল খেয়েও মোহনবাগান আগের ম্যাচের মতো ঘাবড়ে যায়নি। বিরতির আগেই ফের এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ভলিতে নিজের এবং দলের দ্বিতীয় গোল করেন সুহেল। বিরতির পরেই নামেন ফারদিন আলি মোল্লা। নেমেই একটা সহজ সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। জটলার মধ্যে সামনে একা গোলকিপারকে পেলেও বারের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন। তার পরেও একটি সুযোগ নষ্ট করেন নংদোম্বা নাওরেম। মোহনবাগান তখনই অনেক গোলে এগিয়ে থাকতে পারত। কিন্তু সুযোগ নষ্টের জন্য হচ্ছিল না।
তৃতীয় গোল হয় ৬৮ মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে শটে গোল কেন পরিবর্ত এঙ্গসন। দশ মিনিট পরে তিনিই আবার গোল করেন বিপক্ষ গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে। এই জয়ের ফলে গ্রুপ এ-তে পয়েন্টের বিচারে এক নম্বরে উঠে এল মোহনবাগান।