একটা বিষয় উল্লেখ করতেই হচ্ছে। ২৮৩ রানে ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার পর ইংল্যান্ডের অতি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল। কিন্তু প্রথাগত, রক্ষণশীল ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়াই বা কী এমন তির মারল? ইংল্যান্ড ২৮৩ করেছিল ৫৪.৪ ওভারে। স্টিভ স্মিথরা (Steve Smith) ২৯৫ করতে নিলেন ১০৩.১ ওভার। প্রায় দ্বিগুণ! বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন (Marnus Labuschagne) ৮ রান করলেন ৮২ বলে। যে যুগে ক্রমশ টেস্ট ক্রিকেটের দর্শক কমছে, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে এই বিরক্তিকর ব্যাটিং কতটা যুক্তিযুক্ত? এর উত্তর বিশেষজ্ঞরা দেবেন। তবে এটা তো সত্যি, টেস্ট ক্রিকেটের মন্থরতার কারণেই ৫০ ওভার ফর্ম্যাটের জন্ম এবং তাকে আরও উত্তেজক করতেই টি২০-র আমদানি। এখন তো টি১০ খেলাও হয়।
যাইহোক খেলায় ফেরা যাক। অস্ট্রেলিয়াকে এই ইনিংসে টানলেন সেই স্মিথ। ৭১ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন তিনি। ৪৭ করেছেন উসমান খোয়াজা। এক সময় ১৮৫ রানে ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল অজিদের। সেখান থেকে দলকে ব্যাট হাতে উদ্ধার করেন প্যাট কামিন্স (৮৪ বলে ৩৬) এবং টড মারফি (৩৯ বলে ৩৪)। তাঁদের সৌজন্যেই ১২ রানের লিড দিতে পেরেছে ক্যাঙারু বাহিনী। তবে এই লিডের কোনও গুরুত্ব নেই। খেলা একেবারে সমান সমান জায়গায় দাঁড়িয়ে। শনিবার, তৃতীয় দিন ইংল্যান্ডের ব্যাটিংই বলে দেবে, তারা সিরিজ ২-২ ড্র রাখতে পারবে নাকি ২০০১ সালের পর তাদের মাটিতে সিরিজ জিতে ফিরবে অজিরা।