
টসে জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শেই হোপ (Shai Hope)। ৫ উইকেটে ৩৫১ রান করেন শুভমান গিলরা। ঈশান কিশন (Ishan Kishan) এবং শুভমন গিলের (Subhman Gill) বন্ধুত্বের কথা কোনও ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে অজানা নয়। মঙ্গলবারের ম্যাচে তাঁদের জুটিকেই ওপেনিং-এ নামানো হয়েছিল। ১৪৩ রানের পার্টনারশিপ করে গিল-ঈশান জুটি। যার ফলে ক্যারিবিয়ানদের ওয়ান-ডে সিরিজ জেতার আত্মবিশ্বাস প্রথমেই ভেঙে যায়। ৬৪ বলে ৭৭ রানের এক সুন্দর ইনিংস খেললেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঈশান। অন্যদিকে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৫ রান দূরেই ইনিংস শেষ করতে হল ভারতের তরুণ ব্যাটার গিলকে। ৯২ বলে ৮৫ রান করে প্যাভিলিয়ানে ফেরেন তিনি।
বিরাট কোহলির জায়গায় তিন নম্বরে নামানো হয়েছিল রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে। তবে এদিন মাত্র আট রানে আউট হয়ে যান তিনি। চারে নামেন সঞ্জু স্যামসন। তিনি গায়কোয়াড়ের মতো ভুল করলেন না। ম্যাচে টিকে থেকে করলেন ৪১ বলে ৫১ রান। অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়াকে নামানো হয় পাঁচে। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলেও মঙ্গলবার ৫২ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকলেন পাণ্ডিয়া। ছয় নামেন সূর্যকুমার যাদব। যাঁর রান না করা ঘিরে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তিনি এদিন ৩০ বলে ৩৫ রানের করেন। হার্দিক পাণ্ডিয়ার সঙ্গে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে টিকে ছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। যিনি ৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
জয়ের জন্য ৩৫২ রান করতে নামেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটররা। বল হাতে ভেলকি দেখালেন বাংলার ছেলে মুকেশ কুমার। ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতকে সিরিজ জেতার দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত সেই চাপ নিতে পারেননি ক্যারিবিয়ানরা। ৩৫২ রানের জবাবে মাত্র ১৫১ রানে অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিন ভারতের সফলতম বোলার ছিলেন শার্দূল ঠাকুর। ৩৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন তিনি। জয়দেব উদানকাট ১৬ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। ২৫ রানে ২ উইকেট নেন কুলদীপ যাদব।