শুরুটা বেশ ভাল করেছিলেন ম্যান ইন মেরুনের দুই ওপেনার। কাইল মেয়ার্স ও ব্রেন্ডন কিং প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। প্রথম ওভারে হাত খুলে খেলতে পারলেও দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। মেয়ার্সকে প্যাভেলিয়ানে ফেরান ভারতের আর এক তরুণ বোলার আর্শদীপ সিং। ক্যারিবিয়ানরা এরপরের ধাক্কাটি খান প্লে-অফে। ফের আর্শদীপের বলে আউট হন ব্রেন্ডন। ফর্মে থাকা নিকোলাস পুরান এবং অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলকে আউট করেন কুলদীপ যাদব। হোপ ৪৫ রান করে আশা জাগিয়েছিলেন। তবে তাঁকেও প্যাভেলিয়ানে ফিরতে হয়। শেষ দিকে ব্যাট চালাতে শুরু করেন হেটমেয়ার। ৩৬ বলে অর্ধশতরান করে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করেন। শেষে ওভাপে ৬১ রানে আউট হন হেটমায়ার। ২০ ওভার শেষে ২ উইকেট বাঁচিয়ে ১৭৮ রান করতে সফল হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ভারতের সামনে ১৭৯ রানের লক্ষ্য ছিল, যা আগের তিনটি টি-২০ ম্যাচের থেকে বেশি। তাই প্রথম থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে হত হার্দিক পাণ্ডিয়াদের। জেতার ইচ্ছে নিয়েই হয়তো এদিন নেমেছিলেন যশস্বী ও শুভমনরা। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক শট খেলা শুরু করে এই জুটি। ৫ ওভারেই ৫০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায়। ভারতীয় এই দুই তরুণ ব্যাটারের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছিল অর্ধশতরান করার। শুভমন মাত্র ৩০ বলে ৫০ রান করেন। একই ওভারে ৩৩ বলে অর্ধশতরান করেন জয়সওয়াল। শেষ পর্যন্ত জয়সওয়াল ৫১ বলে ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন এবং ম্যান অফ দা ম্যাচও জেতেন। অন্যদিকে ৪৭ বলে ৭৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন গিল। তাঁদের এই জুটি শুধু ভারতেক সিরিজ হারের লজ্জা থেকে বাঁচাল না, এরই সঙ্গে রোহিত শর্মা এবং শিখর ধাওয়ানের জুটির দ্বারা তৈরি এক রেকর্ডও স্পর্শ করল। ২০১৭ সালে এই অভিজ্ঞ জুটি ইন্দোরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম উইকেটে ১৬৫ রানের পার্টনারশিপ করেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটে ইতিহাসে যা নজিরবিহীন ঘটনা। এবার সেই ফাইলফলকেই স্পর্শ করল জয়সওয়াল-গিল জুটি।