কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার (Columbia) বিরুদ্ধে যে দল ছিল, সেমিফাইনালে সেই দলই নামান ইংল্যান্ডের (England) জার্মান কোচ সারিনা উয়েগম্যান (Sarina Wiegman)। অন্যদিকে অসুস্থতার কারণে খেলতে পারেননি অজি ডিফেন্ডার আলান্না কেনেডি, তাঁর জায়গায় নেতৃত্ব দেন স্যাম কের (Sam Kerr)।
ম্যাচের প্রথম সুযোগ কিন্তু অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিল। নীচে থেকে ভাসানো বল ধরে বিপজ্জনক জায়গায় ঢুকে পড়েছিলেন কের। তাঁর শট পা দিয়ে বাঁচিয়ে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক মেরি আর্প (Mary Earp)। পরে অবশ্য দেখা যায় কের অফসাইডে ছিলেন।
১৭ মিনিটে প্রথম আঘাত হানেন ইংল্যান্ডের এলা টুন (Ella Toone)। বাইলাইন থেকে নীচের দিকে বল বাড়ান অ্যালেসিয়া রুসো (Alessia Russo), ম্যান ইউ ফরোয়ার্ড টুন দুরন্ত শটে বল জালে জড়িয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধের তখন ১৮ মিনিট খেলা হয়েছে। ঠিক সুবিধা করতে পারছে না আয়োজক দেশ। এমন সময় নিজেদের হাফ থেকে বল নিয়ে দৌড়তে শুরু করেন অধিনায়ক কের, তারপর ২৫ গজ দূর থেকে অবিশ্বাস্য শটে সমতা ফেরান।
আট মিনিট পরেই ২-১ করে দেয় ইংল্যান্ড। এবার গোলদাতা লরেন হেম্প (Lauren Hemp)। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন রুসো। গোলের পাসটি ছিল সেই হেম্পের। শনিবার সুইডেনের (Sweden) বিরুদ্ধে তৃতীয় স্থান অর্জনের জন্য খেলবে অস্ট্রেলিয়া। সুইডেনকে প্রথম সেমিফাইনালে ২-১ হারিয়ে ছিল স্পেনের মেয়েরা। ফাইনালে তাঁদের মুখোমুখি ইংল্যান্ড। ইউরো কাপ জয়ের পরের বছরেই বিশ্বকাপ জিততে পারলে বিরাট বড় কৃতিত্ব অর্জন করবেন ইংল্যান্ডের মেয়েরা।