পৃথিবীর খনিজ সম্পদ ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। এবার কি তাহলে বিকল্প হিসাবে চাঁদের খনিজকে ভাবা হচ্ছে? ব্যাপারটা শুনতে কল্পবিজ্ঞানের মত লাগলেও একেবারেই অবাস্তব নয়। ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযানে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরোর যে ‘রোভারটি’ থাকছে, তার কাজ চাঁদের মাটিতে কী কী খনিজ পদার্থ রয়েছে, তার সন্ধান করা। ওই ‘রোভার’ বা চাঁদের গাড়িটি কৃত্রিম মেধা চালিত। সে ‘ল্যান্ডার’ বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে এবং তার মাধ্যমে ছবি ও তথ্য পৃথিবীতে পাঠাবে। সব ঠিক থাকলে শুক্রবার বিক্রমের অবতরণ শুরু হবে রাত ১টা থেকে। দেড়টা থেকে আড়াইটের মধ্যে ‘টাচ ডাউন’, শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ বিক্রমের ভিতর থেকে বেরোনোর কথা ‘রোভার’ প্রজ্ঞানের।
ইসরো জানিয়েছে, প্রজ্ঞান নামে ওই ‘রোভারে’ দু’টি যন্ত্র রয়েছে। ‘আলফা পার্টিকল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার’ নামে যন্ত্রটি অবতরণস্থলের কাছে চন্দ্রপৃষ্ঠে কী কী উপাদান রয়েছে তা দেখবে। ওই যন্ত্রে কিউরিয়াম নামে তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে এক্স-রে ও আলফা পার্টিকল নির্গত হবে এবং তার মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি তুলবে। চাঁদের পাথরের মধ্যে লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম, টাইটেনিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে কি না, তার সন্ধানও করবে সে। দ্বিতীয় যন্ত্রটির নাম ‘লেসার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ’। কাজ অবতরণস্থলের আশপাশে চাঁদের মাটিতে কী উপাদান কত পরিমাণে রয়েছে তা খুঁজে বার করা, তবে ভিন্ন পদ্ধতিতে।
বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজ়িক্সের অধ্যাপক-বিজ্ঞানী সুজন সেনগুপ্তের মতে অবশ্য, কত পরিমাণে খনিজ রয়েছে তা এ ভাবে বার করা সম্ভব নয়।রোভার শুধুমাত্র জানাবে চাঁদের মাটির তলায় জল ও খনিজ পদার্থ আছে কিনা।
শেষপর্যন্ত কতদূর সফলতা আসবে তা সময়ের অপেক্ষা।