শুক্রবার মাঝরাত থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল বিক্রম। কিন্তু রবিবার বিক্রমের খোঁজ পাওয়ার সাথে সাথেই আবারও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে গোটা দেশ। যদিও এখনো হইচই করার মত কিছু হয়নি। উল্টে খানিকটা আশঙ্কার কথাই শোনালেন ইসরো প্রধান কে শিবন। অরবিটারের পাঠানো ছবি নিয়ে এ দিন তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, চাঁদের পিঠে ল্যান্ডারকে আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। ওটা নিশ্চিত ভাবেই আছড়ে পড়েছে (It must have been a hard-landing)’’— সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন শিবন।
শুক্রবার মধ্যরাতে নিখোঁজ হওয়ার দু’দিনের মাথায় বিক্রমের খোঁজ মিলেছে। তার খোঁজ মেলার পর, স্বাভাবিক ভাবেই মুন ল্যান্ডার কী পরিস্থিতিতে রয়েছে সেই প্রশ্নই এখন বড় হয়েছে উঠেছে। সে প্রসঙ্গে শিবনের জবাব, ‘‘বিক্রম কী অবস্থায় তা আমরা এখনও জানি না। তার সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা অনবরত চালানো হচ্ছে।’’
বিক্রমের চাঁদের মাটিতে নামার কথা ছিল পালকের মত, কিন্তু বাস্তবে যে টা হয়নি তা তো স্পষ্ট। মহাকাশ গবেষকদের একাংশের ধারণা, পালকের মতো অবতরণ না হলে, অক্ষত থাকবে না বিক্রম। তার ফলে বিপদের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, চন্দ্রপৃষ্ঠের সঙ্গে সংঘর্ষে ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে বিক্রম ও তার পেটে থাকা প্রজ্ঞানের।
শুক্রবার চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় বিক্রমের সঙ্গে ইসরোর কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ দিন অরবিটারের পাঠানো থার্মাল ইমেজ ফের আশার আলো দেখিয়েছে।