বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত ইসরোর কন্ট্রোল রুম থেকে অবিরত যোগাযোগের চেষ্টা স্বত্বেও চন্দ্রপৃষ্ঠের বিক্রম কোন সাড়াই দিচ্ছেনা।
তবে ইতিমধ্যে ইসরো জানিয়েছে, এক বছর কাজ করার কথা থাকলেও অরবিটারটি সাত বছর ধরে কাজ করতে পারবে। কারণ, সফল ও উন্নত উৎক্ষেপণের ফলে অরবিটারের জ্বালানি কম খরচ হয়েছে এবং কর্মক্ষমতা বেড়ে গিয়েছে। বিক্রমের কী অবস্থা, তা জানতে ইসরোর ভরসা ওই অরবিটার।
ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানিয়েছেন চন্দ্রযান-২ এর অরবিটার থেকে তোলা তাপচিত্র (থার্মাল ইমেজ) ছাড়া বিক্রমের ছবি এখনও ইসরোর হাতে আসেনি। তাপচিত্রে বিক্রমের উপস্থিতি বোঝা গেলেও সে কী অবস্থায় আছে, তা নিয়ে তাঁরা নিশ্চিত নন।
তবে বিক্রমকে নিয়ে জল্পনার কোন শেষ নেই। অনেকের দাবী বিক্রম ভেঙ্গে যায়নি। তাকে গোটা অবস্থায় দেখা গিয়েছে। যদিও দু’টুকরো না হলেও বিক্রম যে অক্ষত অবস্থায় রয়েছে, সে কথা বলা চলে না। দু’কিলোমিটার উপর থেকে আছড়ে পড়লে বা বেশি গতিবেগ নিয়ে অবতরণ করলে তার যন্ত্রপাতির ক্ষতি হতে পারে। সেটা ঘটে থাকলেও বিক্রম কাজ করবে না। ইসরোর এক সূত্রের দাবি, বিক্রমকে পালকের মতো অবতরণ বা সফট ল্যান্ডিংয়ের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। ফলে বেশি গতিবেগ নিয়ে নামলে তার ক্ষতি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। সে যেখানে নেমেছে, ঠিক সেখানে ভূমিরূপ কেমন তা-ও জানা নেই। ফলে তাতেও ক্ষতি হতে পারে।
ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্সের অধিকর্তা এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তীর মতে বিক্রমের সোজা হয়ে নামার কথা ছিল। কিন্তু অবতরণ ব্যর্থ হওয়ায় সে উল্টো হয়ে নামতে পারে। সে ক্ষেত্রে অ্যান্টেনা কাজ করবে না। ইসরোর একটি সূত্রের দাবি, অবতরণের গোলমালে অ্যান্টেনা উল্টে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। ফলে বিক্রমের যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিক্রম কাজ করে চললেও বিজ্ঞানীদের তথ্য জানাতে পারবে না। এ বিষয়েও ইসরো সরকারি ভাবে নিরুত্তর। কিছু বলার মতো তথ্য এখনও তাদের হাতে আসেনি বলেই খবর।