ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি হার আরও কমে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে এবার বিশ্বব্যাঙ্ক । মূলত নোটবন্দী , জিএসটি চালু করার পর দেশে যে আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে । এদিকে , ব্যবসায়ে মন্দা এসেছে , বেকারত্ব বেড়েছে , গ্রামীণ অর্থনীতিতে আঘাত এসেছে ফলে দেশের আর্থিক বিকাশের হার অনেকটাই কমে গেছে । কয়েক দিন আগে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার বা আইএমএফ-র পক্ষ থেকে ভারতের আর্থিক বিকাশের হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল , মার্কিন সমীক্ষক সংস্থা মুডি’জ ইনভেস্টর সার্ভিসের সমীক্ষাতেও একই আশংকা প্রকাশ করা হয়েছিল । এবার সেই একই সুর শোনা গেল বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টে । তারা বলেছে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার আরও কমতে পারে ।
রবিবার, সাউথ এশিয়া ইকনমি ফোকাসে বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার দ্রুত নামছে। ২০১৮-১৯ সালে যে বৃদ্ধির হার ৬.৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল, এ বার তা এক ঝটকায় নেমে আসতে পারে ৬ শতাংশে।
বাজারে চাহিদার ঘাটতির ফলে শিল্পক্ষেত্র এবং পরিষেবা ক্ষেত্র দুর্বল হতে শুরু করে। অর্থনীতির নিম্নগতি ও খাদ্যশস্যের ক্রয়মূ্ল্য কম থাকায় মুদ্রাস্ফীতি ২০১৯-২০ সালে ৩.৪ শতাংশে ও ২০১৯-২০ সালের প্রথমার্ধে ৪ শতাংশের মধ্যেই বাঁধা ছিল।
কিন্তু, নানা কারণে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নতুন নতুন দাওয়াইয়ের কথা এ বার ভাবতে হচ্ছে আরবিআই-কে। গত বারের থেকে চলতি খাতে ঘাটতি বেড়ে জিডিপির ২.১ শতাংশে এসে পৌঁছেছে, তাও জানিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক। এমন পরিস্থিতি যে বাজারের ভারসাম্য নষ্ট করছে সেই আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছে তারা। কারণ হিসাবে, ভারতের বাজার থেকে পুঁজি বেরিয়ে যাওয়া এবং প্রাথমিক ভাবে ডলারের তুলনায় টাকার দাম অনেকটা পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনাকেই মাইলস্টোন ধরা হচ্ছে। সেইসঙ্গে,  ২০১১-১২ থেকে ২০১৫-১৬ সালের নিরিখে দারিদ্র দূরীকরণের গতিও অনেকটা মন্থর হয়েছে বলেও জানিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্ক।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সর্তকবার্তা সত্ত্বে ভারত সরকার প্রচার সময় বের করলেও দেশের আর্থিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য তেমন কিছু করছে না । ফলে আগামী দিনে আর্থিক সংকট আরও তীব্র হতে পারে ।


Find out more: